Samakal:
2025-06-17@11:05:50 GMT

নারী চা শ্রমিকদের সংগ্রাম

Published: 20th, January 2025 GMT

নারী চা শ্রমিকদের সংগ্রাম

জীবিকার তাগিদে নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছেন মাধবপুর উপজেলার পাঁচটি চা বাগানের হাজারো নারী শ্রমিক। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেলেও তাদের কঠিন জীবনের বিধি আজও অপরিবর্তিত।
এসব চা বাগানের নারী শ্রমিক কাজের পাশাপাশি পরিবারের ভরণপোষণ, রান্নাবান্নাসহ যাবতীয় কাজ সামাল দেন। সেই সঙ্গে অনেকে আবার বাড়তি আয়ের আশায় সবজি চাষও করেন।
চা বাগানের সবুজ চা পাতা চয়নে নারী শ্রমিকের দক্ষতা অনেক বেশি। কাজের বিনিময়ে যে মজুরি ও রেশন পান, তা দিয়ে তাদের পরিবারের সব চাহিদা মিটছে না। বাগানের পক্ষ থেকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা, সরকারিভাবে তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধাও মিলছে না।
উপজেলায় নোয়াপাড়া, বৈকুণ্ঠপুর, জগদীশপুর, সুরমা ও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার নারী শ্রমিক কাজ করেন। বাগানে যারা কাজ করেন, সেসব নারীর রয়েছে সংগ্রামী জীবন।
নোয়াপাড়া চা বাগানের সুখন্তি রেলি নামে এক নারী শ্রমিক জানান, নারী শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করেন। ভোরে ঘরের কাজ সেরে ঠিক সময়ে বাগানের কাজে হাজির হন। এর বিনিময়ে যে পরিমাণ মজুরি ও রেশন পান, তা দিয়ে ভালো থাকা কঠিন।
জগদীশপুর চা বাগানের নারী শ্রমিক মালতি মুন্ডা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহাড়, টিলা, জঙ্গল ঠেলে তাদের বাগানে কাজ করতে হয়। বৈরী আবহাওয়াতেও তারা কাজ করেন বিনা দ্বিধায়। অনেক নারী শ্রমিক কাজের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাগানে কোনো ভালো চিকিৎসক না থাকায় সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায় না।
এসব বাগানের নারী শ্রমিকদের অধিকাংশ অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগেন। সরকারিভাবে বাগানের অবহেলিত নারীদের জন্য তেমন কিছু করা হয় না।
উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগম জানান, নারী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকারি সহায়তা প্রকল্প রয়েছে। সবাইকে সেবার আওতায় নেওয়া সম্ভব নয়। এসব সেবার পাশাপাশি নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে জোর দিতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন, ইরানকে দোষারোপ জি-৭ জোটের

ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জি-৭ জোটের নেতারা। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে ইরানকে দায়ী করেছেন।

গতকাল সোমবার রাতে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ জোটের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালিয়ে দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে আকাশপথে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে ইসরায়েল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে অঞ্চলটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

এ বছর কানাডায় বসে ৫১তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে এবারের সম্মেলন অনেকটা আড়ালে পড়ে যায়।

সম্মেলন ছেড়ে আগেভাগেই দেশে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি ঠিক কী কারণে সম্মেলন শেষে না করেই যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প শুধু বলেছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কারণে ওয়াশিংটনে ফিরে যাচ্ছেন। তবে তাঁর ফিরে যাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সম্পর্ক থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

জি-৭ সম্মেলন শেষে সাধারণত সদস্যদেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। ট্রাম্প সম্মেলন শেষ না করেই দেশে ফিরে গেলেও যৌথ বিবৃতিতে সই করে গেছেন। বিবিসি এ খবর দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আর ইরান হলো সন্ত্রাসবাদের উৎস। ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়।

মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার বিস্তার রোধে সংকট নিরসনের আহ্বানও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ট্রাম্প কানাডা ছেড়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাঁর আগেভাগে ফিরে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ আছে।

আরও পড়ুনইরানে সরকার উৎখাতের চেষ্টা হবে একটি কৌশলগত ভুল: মাখোঁ৫ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্পের আগেভাগে সম্মেলন ত্যাগের বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছিলেন, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন এমন একটি পর্যায়ে আছে, যেখান থেকে আরও বিস্তৃত পরিসরের আলোচনা শুরু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করতে পারে, তবে সেটা খুব ভালো একটি বিষয়। ফ্রান্স তা সমর্থন করবে।

পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, মাখোঁর এমন কথা ঠিক নয়। মাখোঁ জানেনই না ট্রাম্প এখন কেন ওয়াশিংটনের পথে। তবে এটা নিশ্চয়ই কোনো যুদ্ধবিরতির কারণে নয়। তাঁর ফেরাটা এর চেয়েও অনেক বড় কোনো কারণে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ