নড়াইলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 12th, July 2025 GMT
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জিল্লুর রহমান সর্দার (৫৫) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কুলশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত আটটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত জিল্লুর রহমান সর্দার উপজেলার কুলশুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাসেম সর্দারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে কালিয়ার কুলশুর গ্রামে শহীদ এখলাস উদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালে কুলশুর ও বাবুপুর গ্রামের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। অভিযোগ আছে, বাবুপুর গ্রামের কিছু লোক কুলশুর গ্রামে গিয়ে জিল্লুর রহমানের ওপর হামলা চালান এবং তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জিল্লুর রহমানের ওপর হামলা হয়েছে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন ফ টবল খ ল অবস থ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ছাগলের ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধ, গুলিতে কৃষক নিহত
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নে গুলি করে এক কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছনখোলা গ্রামে তাঁকে গুলি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার ভোরে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত কৃষকের নাম মোহাম্মদ শরিফ (৪৫)। তিনি ছনখোলা গ্রামের ফরিদ আলমের ছেলে। ছাগলের ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ নিহত ব্যক্তির পরিবারের।
নিহত শরিফের স্ত্রী শফিকা বেগম (৩৮) বলেন, পাঁচ দিন আগে তাঁদের ধানখেতে প্রতিবেশী আবদুল করিমের ছাগল প্রবেশ করে। ছাগলটি ধান খাওয়া শুরু করায় তাঁর স্বামী শরিফ ছাগলটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন আবদুল করিমের সঙ্গে শরিফের কথা-কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জেরে গতকাল বিকেলে শরিফের পায়ে গুলি করেছেন আবদুল করিম।
নিহত শরিফের ছেলে মোহাম্মদ শেফায়ত বলেন, ‘ছাগলে ধান খাওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনায় আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, ছাগলের ধান খাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিরোধের জেরে গুলি করে একজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ছাগলের মালিক আবদুল করিম পলাতক। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফাহিম হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
ওসি মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।