সাদ্দামের ফাঁসির দাবিতে দেবিদ্বারে বিক্ষোভ
Published: 29th, January 2025 GMT
কুমিল্লা দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি বর্ষণকারী এবং বাদশা রুবেল ও সাব্বির হোসেন হত্যা মামলার আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দেবিদ্বার উপজেলার জনগণ।
বুধবার বিকেলে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ওই মানবন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দেবিদ্বার সরকারী কলেজের সাবেক জিএস মোকবল হোসেন, ইব্রাহিম কন্ট্রাকটার, জসিম উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, সাদ্দাম হোসেন, মাহফুজ সরকার, আবুল খায়ের, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাদ্দাম হোসেন দেবিদ্বারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত খুনী। সে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সে রুবেল ও সাব্বিরের হত্যাকারী। তার হামলায় অনেকেই আহত হয়েছে। বক্তারা সাদ্দামের ফাঁসি দাবি করে বলেন, সাদ্দামের মতো কুখ্যাত খুনির ফাঁসি না হলে রুবেল ও সাব্বিরের আত্মা শান্তি পাবে না।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সৌদি আরব থেকে গত মঙ্গলবার দেশে ফিরলে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয় সাদ্দাম। তার বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।