2025-11-17@07:50:29 GMT
إجمالي نتائج البحث: 17
«জলকপ ট»:
আঁধার তখনো কাটেনি। কুয়াশার আবছায়ায় চারদিকে শুধু ঝপাৎ ঝপাৎ শব্দ। একটু একটু করে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করে ভোরের সূর্য। লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিতে। এর মধ্যেই নানা বয়সের মানুষ বাঁধের জলে একের পর এক ফেলছেন জাল। ছড়িয়ে পড়ছে ঝপাৎ ঝপাৎ শব্দ।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সুক নদীর ওপরের বুড়ির বাঁধ (জলকপাট) এলাকায় আজ শনিবার এ চিত্র দেখা যায়। এখানে আরও কয়েক দিন চলবে মাছ ধরার উৎসব।প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে জলকপাটটি খুলে দেওয়া হয়। পানি কমে গেলে আশপাশের গ্রামের মানুষ জাল নিয়ে মেতে ওঠেন মাছ ধরার উৎসবে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। মাছ তেমন না পেলেও তাঁদের মধ্যে উৎসাহের কমতি থাকে না।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ঠাকুরগাঁও কার্যালয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কৃষিজমিতে সম্পূরক সেচ সুবিধার...
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেটের সবগুলো ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেছেন, হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিকেল ৪টার দিকে স্পিলওয়ের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বেলা ৩টায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮.৪৬ এমএসএল। হ্রদের পানি সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। ব্যবস্থাপক আরো জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির...
টানা ১১ দিন পানি ছাড়ার পর রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্রদের পানি কমায় আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে এসব জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ হাসান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ২২ ফুট এমএসএল (মিনস সি লেভেল), অর্থাৎ পানি বর্তমানে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় ৮ সেপ্টেম্বর ৬ ইঞ্চি করে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। পরে পানির উচ্চতা বাড়ায় জলকপাট সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত খুলে দেয় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
তৃতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ১১ দিন পর হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঁধের সবকটি জলকপাট। এর আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় পানি ছাড়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরবর্তীতে পানির স্তর কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার সকাল আটটায় সবকটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখনো কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, “উজান থেকে পানির ঢল কমে আসায় এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব বিষয় চিন্তা করে...
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট এক ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ছয় ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে জলকপাটগুলো এক ফুট খুলে দেওয়া হয়। ফলে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “কাপ্তাই হ্রদের পানি আবারো বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার দুপুর পৌনে ৩টায় বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। ওই সময় পানির স্তর ছিল ১০৮.৬৫ এমএসএল। গেট ৬ ইঞ্চি খোলা রাখার পরও উজান থেকে পানি আসা অব্যাহত থাকায় হ্রদে পানির স্তর বেড়ে দাঁড়ায় ১০৮.৮৮ এমএসএল। এই...
কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট তৃতীয়বারের মতো খুলে দেওয়া হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টায় ১৬টি জলকপাটের সবগুলো ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে দুপুর পৌনে ৩টায় ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। দুপুরে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮ দশমিক ৬৫ এমএসএল। হ্রদের পানি সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। তিনি আরো জানান,...
উজানে লাগাতার বৃষ্টি এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এই জেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। নদীর পানিতে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক, ফসলের মাঠ এবং সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থান, বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রাত পানি আরো বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আরো পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১৩ স্কুল বন্ধ ঘোষণা তিস্তা পাড়ের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি সংশ্লিষ্ট...
ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিস্তাপারের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। আজ সকাল ৯টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ২০ মিটার ওপর দিয়ে। এর আগে ৩ আগস্ট নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এরপর পানি কমে যায়।তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ছয়টায় পানি...
টানা সাত দিন পানি ছাড়ার পর রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্রদের পানি কমায় আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে এসব জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্রদের পানি বাড়ায় ৫ আগস্ট বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছিল।কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় হ্রদের পানি আর বাড়ছে না। কাপ্তাই হ্রদের বাঁধের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট। তবে সম্প্রতি বৃষ্টিতে পানি ১০৯ দশমিক ৮৩ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছিল। হ্রদটিতে পানির ১০৮ ফুট উচ্চতাকে বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়।বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মকর্তারা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে বাঁধের ১৬টি জলকপাট সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত খোলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকে। আজ সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৬ ফুট। গতকাল...
সাত দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে কাপ্তাই হ্রদরে পানির উচ্চতা ১০৭.৩৪ এমএসএলের নিচে নেমে আসায় অর্থাৎ বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়। এ কারণে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবকটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.০৬ এমএসএল। অর্থাৎ বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে লেকে পানির উচ্চতা কমে আসছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায়...
ধীরে ধীরে কমছে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর। তবে, এখনো তা বিপৎসীমায় রয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) পানি কমতে থাকায় কৃত্রিম এই হ্রদে থাকা জলকপাটগুলো সাড়ে তিন ফুট থেকে কমিয়ে তিন ফুট খোলা রাখা হয়। ফলে প্রতি সেকেন্ড ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্নফুলী নদীতে পড়ছে। বর্তমানে রাঙামাটি জেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ২৩ হাজার ১২০ জন মানুষ। এদিকে, কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে তৃতীয় দিনের মতো শনিবার বন্ধ ছিল চন্দ্রঘোণা-রাইখালী ফেরি চলাচল। এ কারণে রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে রাজস্থলী উপজেলা ও বান্দরবান জেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। দুর্ভোগে পড়েন এই রুটে চলাচলকারীরা। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পানির স্তর বাড়তে থাকে কাপ্তাই হ্রদে। এই বছর সর্বোচ্চ পানির স্তর ১০৮.৮৪ এমএসএল রেকর্ড করা হয়। এ কারণে কাপ্তাই বাঁধের...
কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেটের সব কয়টি ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২.০৫ মিনিটে গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়। এর আগে তিন দফা সময় পরিবর্তন করে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল নয়টায় গেট খোলার সময় নির্ধারণ করা হয়। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “বাঁধের গেট সবশেষ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় খোলার সময় নির্ধারণ করা হলেও রাতেই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) অতিক্রম করেছে। যা বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে সোমবার দিবাগত রাত ১২.০৫ মিনিটে স্পিলওয়ের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯...
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের জলকপাটগুলো সোমবার দুপুরের পরিবর্তে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ১০৭.৪৯ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। আজ দুপুরে বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার কথা ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আজকে না খুলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে জলকপাটগুলো খোলা হবে। এর আগে, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেকে পানি বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার বিকেল ৩টায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে তুলে দেয়া হবে। ফলে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়বে। ঢাকা/শংকর/মাসুদ
কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ৩টায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট ৬ ইঞ্চি খুলে দেওয়া হবে। রবিবার (৩ আগস্ট) কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মাহমুদ হাসান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১০৭ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল)। যা বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে সোমবার দুপুর ৩টায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হবে। এতে ৯ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হবে। আরো পড়ুন: বাঁধন-সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দিলেন অরুণা বিশ্বাস ‘আমরা জানি না আজ আমাদের জীবনে কী ঘটতে যাচ্ছে’ বার্তায় আরো জানা যায়, বর্তমানে লেকের ইনফ্লো...
ভোলা জেলার তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নে স্লুইসগেট নির্মাণকাজের অনিয়ম অনুসন্ধান করতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। উন্নয়নকাজে অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সেটির অনুসন্ধান করা বা প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব। সেই পেশাগত দায়িত্ব পালনে এবং জনস্বার্থ রক্ষায় সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু যেভাবে নাজেহালের শিকার হলেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, চাঁদপুর ইউনিয়নে নতুন জলকপাট নির্মাণকাজের ঢালাই শুরু হয় বৃহস্পতিবার। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের ফোন দিয়ে বলেন, ঢালাই কাজে অনিয়ম হচ্ছে। এই খবর পেয়ে পাঁচ-ছয়জন সাংবাদিক বিকেলে সেখানে যান। তাঁরা দেখেন, সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোনো কর্মকর্তা নেই। ঠিকাদারের প্রকৌশলীও ছিলেন না। শ্রমিকেরা নিম্নমানের পাথর, বালু, সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই কাজ করছেন। শ্রমিকদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁরা সাংবাদিকদের ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে গ্রামবাসী সাংবাদিকদের...
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এই পানি এসেছে উজান অর্থাৎ ভারতের দিক থেকে। শুষ্ক মৌসুমে এবং তিস্তা নদী বাঁচাতে তীরবর্তী স্থানে বিএনপির উদ্যোগে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির দুদিন আগে তিস্তার এমন পানি বৃদ্ধির বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবাক করেছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির স্তর (ওয়াটার লেভেল) ছিল ৪৯ দশমিক ৭৫ মিটার। এরপর হঠাৎ করে গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে তিস্তার পানি ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকে। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে পানির স্তর ছিল ৫০ দশমিক ১০ মিটার। পরদিন অর্থাৎ আজ রোববার সকাল নয়টায় একই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ ছিল ৫০ দশমিক ১৬ মিটার। তিস্তা নদীর ডালিয়া...
কয়েক দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েছে। শুল্ক কমিয়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরও বাজারে চালের দাম আগের অবস্থায় ফেরানো যায়নি। যদিও বাস্তবে কতটা সংকট আর কতটা মিলমালিক ও বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সৃষ্ট সংকট, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েই গেছে। কেননা, বেসরকারি সংস্থা সিপিডির গবেষণা বলছে, কৃষক যে ধান ৩৩ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন, ভোক্তাকে সেই চাল ৬৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে, সরকার বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা ও তদারকি কৌশল এতটাই নাজুক যে সিন্ডিকেট করে যেকোনো পক্ষই বাজারে কারসাজি করতে সক্ষম। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় ধানের মতো প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করাটা জরুরি।...
