পাকুন্দিয়ায় অটোরিকশার চালককে হত্যা মামলায় দুজন গ্রেপ্তার
Published: 17th, August 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চালককে চেতনানাশক দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই এবং চালকের মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার গভীর রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের উজানভাটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের পাকুন্দিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আমাটি শিবপুর গ্রামের প্রয়াত আফাজ উদ্দিনের ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫) ও গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকার প্রয়াত জসিম উদ্দিনের ছেলে হিরু শেখ (৪৫)।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘপাড়া গ্রামের সুলতান উদ্দিন (৬২) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। পরে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন নেশা বা বিষজাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন করে তাঁকে পাকুন্দিয়া উপজেলা জামে মসজিদের পাশে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পরদিন তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সুলতান উদ্দিন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মোছা.
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে অটোরিকশা বিক্রির নগদ ১৮ হাজার টাকা, চোরাই কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং অটোরিকশাটি উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ আস ম দ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।