১৫ বছর পর বৈশ্বিক ই-স্পোর্টস জগতের প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমস (ডব্লিউসিজি) আবার ফিরে আসছে বাংলাদেশে। ই–স্পোর্টস বাংলাদেশ এর আনুষ্ঠানিক অংশীদার। এই অংশীদারত্ব বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক গেমিং ও ডিজিটাল ক্রিয়েটর দুনিয়ায় নতুন করে পরিচিত করে তুলবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ই-স্পোর্টস বাংলাদেশ।

প্রথম বড় ধাপ হিসেবে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ডব্লিউসিজি গ্লোবাল ক্রিয়েটর ফেস্টিভ্যাল ২০২৫–এ। এটি অনুষ্ঠিত হবে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আগামী ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর। এই উৎসবে বাংলাদেশি গেমিং ক্রিয়েটর ও ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সার দল অংশ নেবেন।

ই–স্পোর্টস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুমিত সাহা বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে একজন খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউসিজি অংশগ্রহণ করি এবং ২০১২ সালে সংগঠক হিসেবে যুক্ত হই। আবার ডব্লিউসিজিকে অফিশিয়ালি বাংলাদেশে আনতে পেরেছি। এটি শুধু ফিরে আসা নয়, এটি এক নতুন সূচনা। এবার আমাদের দেশের ক্রিয়েটররা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইতিহাস গড়বে বলে আশা করছি।’

ডব্লিউসিজির পরিচালক কিয়ংজুন কিম বলেন, এই অংশীদারত্ব শুধু একটি ব্যবসায়িক সুযোগ নয়, এটি ভবিষ্যতের বিনিয়োগ। বাংলাদেশ থেকে যে প্রতিভা ও সম্ভাবনা উঠে আসছে, তা অনন্য।

একনজরে ডব্লিউসিজিতে বাংলাদেশ

• ২০০৫: বসুন্ধরা সিটিতে জাতীয় কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে ডব্লিউসিজির যাত্রা।  

• ২০০৮: জার্মানির কোলোনে টিম এক্সট্রিম লুঙ্গিজ প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নেয়।  

• ২০০৯: নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ১ হাজার ২০০–এর গেমারের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  

• ২০১০: আরাফাত জানিন ফিফা ২০১০–এ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই স প র টস

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে কি সুযোগ পাবেন নেইমার

২০১০ সালের কথা। নেইমার তখন সান্তোসে। দরিভাল জুনিয়র ক্লাবটির কোচ। একটি ম্যাচে মাঠ থেকে নেইমারকে তুলে নেন দরিভাল। বেঞ্চে বসে সবার সামনেই কোচের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন নেইমার। ১৮ বছর বয়সী নেইমার তখন মাঠে প্রায় অপ্রতিরোধ্য ও তুখোড় ফুটবলার। ব্রাজিলিয়ানরা তাতে মজেছিলেন। সে কারণে নেইমার নয়, দরিভালকে তাঁর সিদ্ধান্তের কারণে দাঁড়াতে হয় কাঠগড়ায়।

১৫ বছর পরের কথা।

মারাকানায় গত সোমবার ফ্ল্যামেঙ্গো-সান্তোস ম্যাচ চলছিল। দৃশ্যপটে খানিকটা পরিবর্তন। নেইমার সেই আগের মানুষটি আর নেই। ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের শরীর আগের চেয়ে আরেকটু ভারী ও গতি কমেছে। অতীতের সেই ঝলকও আগের মতো আর পায়ে ফোটে না। কিন্তু সান্তোস কোচ হুয়ান পাবলো ভয়ভোদা তাঁকে বদলি হিসেবে তুলে নিতেই বাধল বিপত্তি। নেইমার রেগে কাঁই। কোচ তাঁকে তুলে নেওয়ায় রাগটা ঝাড়লেন সবার সামনেই।

তখন দেখে মনে হয়েছে, নেইমার আসলে কোচ নয়, সান্তোস নয়, লড়ছিলেন এমন এক বাস্তবতার সঙ্গে যেটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। বয়স! ৩৩ বছর বয়সী নেইমার মানতেই পারছিলেন না, তাঁর এখন বয়স হয়েছে। অবনমনের শঙ্কায় পড়া একটি ক্লাবের জন্য তাঁকে নিষ্ফলা হিসেবে পুরো সময় খেলানো বিলাসিতা। ব্রাজিল জাতীয় দলের জন্যও কি এই মুহূর্তে ব্যাপারটি খুব মিথ্যা?

জাতীয় দলের প্রসঙ্গে আসার আগে সেই ম্যাচে নেইমারের দুটি মন্তব্য উল্লেখ না করলেই নয়। বিরতির সময় সতীর্থদের বলেছেন, ‘ফাইনাল থার্ডে (আক্রমণভাগ) আমাকে বেশি বেশি খুঁজতে হবে। গোল করার এটাই একমাত্র পথ।’

কথাটি ভাঙলে বোঝা যায় বিষয়টি আসলে এমন—সান্তোসকে গোল পাইয়ে দেওয়ার একমাত্র পথ হলো অ্যাটাকিং থার্ডে নেইমারকে বেশি বেশি পাস দেওয়া। এই কথার আরেকটি অর্থ হতে পারে এমন, প্রতিপক্ষের বক্সের চারপাশে খেলার আগের সেই ধার ও শারীরিক সামর্থ্য আর নেই নেইমারের। এ কারণে গোল বানানো ও গোল করার দায়িত্ব তাঁর যতটা, সতীর্থদের তাঁকে খুঁজে বের করে গোল করানোর দায়িত্বটা আরও বেশি। বিশ্বাস হয় এটা নেইমারের কথা!

বদলি হয়ে উঠে আসার সময় কোচকে নেইমার বলেছেন, ‘আমাকে তুলে নিচ্ছ নাকি?’ তখন ম্যাচের ৮৫ মিনিট। সান্তোস ৩-০ গোলে পিছিয়ে। কাগজে-কলমে দলের সেরা তারকাকে এমন সময়ে কোচ যদি তুলে নেন, তাহলে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় গোলের জন্য সান্তোস কোচ আর নেইমারের ওপর ভরসা রাখেন না। সান্তোস ম্যাচটি হারলেও নেইমার উঠে যাওয়ার পর দুই গোল করেছে।

আরও পড়ুন৯-১ গোলে জিতে নবমবারের মতো বিশ্বকাপে রোনালদোর পর্তুগাল৮ ঘণ্টা আগে

এবার ১৫ বছর আগে-পরের দৃশ্যপটে ফেরা যাক। ২০১০ সালের সেই সময়ে গোটা ব্রাজিল ছিল নেইমারের পক্ষে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে নেইমারের পক্ষে প্রায় কেউ নেই। ব্রাজিলজুড়ে তাঁর অমন আচরণের তুমুল সমালোচনা হয়েছে। নির্মম বাস্তবতা হলো, ব্রাজিলিয়ানরা তাদের সোনার ছেলেটির ওপর আস্থা রাখেন না। কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা থাকলেও ব্রাজিলিয়ান খ্যাতিমান সাংবাদিক জুকা কাফুরির মুখে শুনতে পারেন, ‘আমার ৫৫ বছরের ক্যারিয়ারে নেইমার প্রতিভার সবচেয়ে বড় অপচয়।’

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে ফেরা যাক।

ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০২৩ সালে খেলেছেন নেইমার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে কি সুযোগ পাবেন নেইমার