বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে মার্কিন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী
Published: 30th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী জেন্ট্রি বিচ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
হাইগ্রাউন্ড হোল্ডিংসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিচ জানান, তার কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে একাধিক খাতে বিনিয়োগে করেছে এবং জ্বালানি, অর্থনীতি ও অন্যান্য খাতে আরো বিনিয়োগ করতে চায়।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে উল্লেখ করে বিচ প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা দুর্দান্ত কাজ করেছেন।’’
আরো পড়ুন:
কোটা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৩ সিদ্ধান্ত
নারী অধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই দেশে আরো বিনিয়োগ আসার এখনই সময়। আমরা এখানে থাকতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’’
জেন্ট্রি বিচ প্যারামাউন্ট ইউএসএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, তার কোম্পানি কম খরচের সামাজিক আবাসন, অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় বিচকে বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে’ আপনাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য স্বাগত জানাচ্ছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে আরো বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা আমাদের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছি।’’
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের গভীর ও অগভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন খাতে আরো মার্কিন বিনিয়োগের প্রয়োজন।
আফ্রিকায় বিনিয়োগকারী এবং পাকিস্তানে বিনিয়োগের পরিকল্পনাকারী বিচ বলেন, ‘‘মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়বে। আমরা বাংলাদেশকে আবারো মহান করে তুলবো।’’
বৈঠকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন। বাসস
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়ান্ডা-কঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের নজর এবার আফ্রিকায়। কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় খনিজ সম্পদ চুক্তির জন্য তোড়জোড় করছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মাসসাদ বৌলোস। দোহায় এক সাক্ষাৎকারে বৌলোস বলেছেন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হলে সেদিনই কঙ্গোর সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর রুয়ান্ডার সঙ্গে একই তবে কিছুটা ভিন্ন আকারের চুক্তি করা হবে।
এই চুক্তি এমন একসময়ে হচ্ছে, যখন রুয়ান্ডাসমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোতে নজিরবিহীন অগ্রগতি অর্জন করছে। অঞ্চলটি ট্যানটালাম, স্বর্ণসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জর্জরিত। রয়টার্স।