রাজশাহীর চারঘাটে বনভোজনের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থী- অভিভাবকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, খাবারে বিষক্রিয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

রোববার সকালে উপজেলা সদরের থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ ১৮০ জন গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কে বনভোজনে যান। এর মধ্যে ৪৫ জন ছিল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাকিরা অভিভাবক ও তাদের আত্মীয়স্বজন। পিকনিকের সকল সদস্যের খাবার থানাপাড়া সোয়ালোজে রান্না করে প্যাকেট করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাফিনা পার্কে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাড়ি ফেরার পর থেকে অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়। সোমবার দুপুরের পর আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো থাকায় অনেকে বাড়িতেই ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রূপালী খাতুন বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পর থেকে আমার দুই মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়। সোমবার অবস্থার অবনতি হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্যালাইন চলছে। ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নেওয়াজ বলেন, ‘খাবার রান্না করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কী কারণে খাবারের বিষক্রিয়া হলো বুঝতে পারছি না। আমার নিজের মেয়েও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

তৌফিক রেজা বলেন, খাবারের বিষক্রিয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। তাদের অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। এরপরও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক মনে হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। 


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহতদের বিশেষ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শেষে দেশে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসক দল।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের দলটি ঢাকা ছেড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশে আসে এই চিকিৎসক দল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু মানুষ হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভারতীয় চিকিৎসক দলটি জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। তারা মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন এবং জটিল কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মতামত বিনিময় করেন।

ভারতীয় চিকিৎসকরা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গৃহীত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ইনস্টিটিউটের বার্ন কেয়ার ইউনিট ও ক্রিটিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতার প্রশংসা করেন তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে ভারত আরো চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে ভারতীয় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হবে।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, দেশটির মেডিকেল টিমের এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সহানুভূতির চিরন্তন বন্ধনের প্রতিফল।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত
  • আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা