বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াড আয়োজনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত
Published: 12th, February 2025 GMT
২০২৫ সালে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড (বিডিএআইও) আয়োজনের লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম শওকত আলি বলেন, আগামী দিনগুলোতে এআইয়ের বিকাশ এবং এআইয়ের প্রভাবে বিশ্ব নানাভাবে প্রভাবিত হবে। আর তাই বিদ্যালয় থেকেই আমাদের শিক্ষার্থীদের এআই প্রযুক্তি বিষয়ে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনের জন্য তৈরি করতে হবে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের দলনেতা অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন জানান, ‘গত বছর বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াড বিলম্বে শুরু হওয়ায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। এরপরও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দল দুটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এবার আরও ভালো ফল করার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অলিম্পিয়াড আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার কৌশল শেখাতে নতুন বই
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আর তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ সহজে করার পাশাপাশি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈধভাবে আয়ও করছেন অনেকে। বাংলাদেশেও এআই প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। আর তাই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ আয়ের পদ্ধতিগুলো তুলে ধরতে নতুন বই লিখেছেন লেখক ও সাংবাদিক মোজাহেদুল ইসলাম। ‘এআই শিখুন, টাকা গুনুন’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করেছে সিসটেক পাবলিকেশনস। বইটির মুদ্রিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
তিন ভাগে বিভক্ত বইটির প্রথম অংশে এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই অংশে আধেয় (কনটেন্ট) তৈরির পদ্ধতিসহ এআই প্রম্পট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কীভাবে আয় করা যায়, তা জানা যাবে। দ্বিতীয় অংশে সাংবাদিকদের জন্য এআই টুল ব্যবহার করে অনলাইনে তথ্য খোঁজা, সূত্র যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ রয়েছে। আর তৃতীয় অংশে এআইয়ের ঝুঁকি, ডিপফেক বা ভুয়া খবর চেনার কৌশল তুলে ধরা হয়েছে।
মোজাহেদুল ইসলাম জানান, বইটিতে এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে যে কেউ চাইলে এআইয়ের মাধ্যমে ব্র্যান্ড এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার কাজ করতে পারবেন। যাঁরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে কাজ করেন, তাঁরাও এআই-চালিত এসইও সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। চাইলে নিজস্ব জিপিটি বানিয়ে সেটি বিক্রি করেও আয় করা যাবে। একইভাবে এআই-চালিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজমেন্ট এবং অপটিমাইজেশনও করা যাবে।
বর্তমানে এআই হয়ে উঠছে মানুষের নতুন সহকারী। নতুন এই সহকারীর মাধ্যমে আয় করার পাশাপাশি ভুয়া ছবি বা তথ্য শনাক্তসহ সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে বইটি।