২০২৫ সালে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড (বিডিএআইও) আয়োজনের লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম শওকত আলি বলেন, আগামী দিনগুলোতে এআইয়ের বিকাশ এবং এআইয়ের প্রভাবে বিশ্ব নানাভাবে প্রভাবিত হবে। আর তাই বিদ্যালয় থেকেই আমাদের শিক্ষার্থীদের এআই প্রযুক্তি বিষয়ে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনের জন্য তৈরি করতে হবে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের দলনেতা অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন জানান, ‘গত বছর বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াড বিলম্বে শুরু হওয়ায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। এরপরও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দল দুটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এবার আরও ভালো ফল করার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অলিম্পিয়াড আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক মো.

সাইফুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম ও সুদীপ্ত চাকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো.সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিএএসএন) সভাপতি মুনির হাসান। বাংলাদেশ এআই আলিম্পিয়াড সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে এই ঠিকানায় (www.bdaio.org) ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা

মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির  গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।

মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা