দুর্নীতির ধারণাসূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমনই বলে দেয় দুর্নীতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান কতটা হতাশাজনক। জার্মানির বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার বিদায়ী ২০২৪ সালের জন্য দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংবাদ সম্মেলন করে একযোগে বাংলাদেশেও এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ যেখানে ২৪ নম্বর পেয়েছিল, ২০২৪ সালে সেখানে পেয়েছে ২৩। যেসব দেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৪তম। ২০২৩ সালে ছিল ১০তম।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানই বাংলাদেশের পেছনে আছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে টিআইবি তাদের পর্যবেক্ষণে বলছে, দুর্নীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, শাসনকাঠামো, আমলাতন্ত্র ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে দুর্নীতিকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। টিআই দুর্নীতির যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে তাতে স্পষ্ট করেই বলা আছে, ব্যক্তিগত সুবিধা বা লাভের জন্য ‘সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার’। এখানে বলা দরকার, এই সংজ্ঞার বাইরেও বাংলাদেশের সমাজে দুর্নীতির বিস্তার আরও ব্যাপক ও সর্বব্যাপী।

দুর্নীতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের এই নিদারুণ ব্যর্থতার পেছনে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী সরকারের দায়টা অনেক বড়। মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার কথা বললেও তারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং দুর্নীতি সংঘটনে সহায়তা ও অংশগ্রহণ করেছে। সরকারি কেনাকাটা ও উন্নয়ন প্রকল্পে অবাধে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে অকেজো করে রাখা হয়েছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে সরকারদলীয়দের রক্ষা ও বিরোধীদের দমনের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। এটাই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

দুর্নীতির ধারণাসূচক তৈরির জন্য যেসব তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেরও তথ্য আছে। টিআইবি বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির চর্চা অব্যাহত ছিল। এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করেই যে প্রশ্নটি সামনে আনা প্রয়োজন, সেটি হলো চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির কেন্দ্রগুলো দখলে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর যে প্রতিযোগিতা ও সংঘাত আমরা দেখেছি, তাতে করে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির কতটা পরিবর্তন হলো?

একটা সমাজে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলোর কাজের পরিবেশ যত বাধাহীন ও মুক্ত হবে, সেই সমাজ গণতন্ত্রের পথে ততই এগোবে এবং দুর্নীতি ততই কমে আসবে। এই মাপকাঠিগুলোর বিবেচনায় ২০২৪ সালকে বিচার করলে দুর্নীতির ধারণা সূচকে কেন বাংলাদেশের অবনমন, তা অনুমান করা সম্ভব।

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমরা আশা করি, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষার প্রশ্নে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণহারা দুর্নীতির লাগাম যেকোনো মূল্যেই টেনে ধরতে হবে। এর জন্য সবার আগে দরকার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় রাজনীতির প্রভাব থেকে বের করে আনা, সেগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া। এটা সবার মনে রাখা জরুরি যে বিশ্বে যেসব দেশ দুর্নীতি মোকাবিলায় সফল হয়েছে, তাদের হাতে কোনো জাদুকরি চেরাগ ছিল না। আমাদের প্রথাগত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে পারলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারা মোটেই কঠিন কোনো কাজ নয়। এর জন্য চাই সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অঙ্গীকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ব যবহ র র জন য র র জন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি

দেশের ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তায় আইন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিতে গত ডিসেম্বরে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অধ্যাদেশটিও নিপীড়নমূলক হওয়ায় পরে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশটিও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। সাইবার অধ্যাদেশটি সংশোধনের সময় জাতিসংঘ কিছু সুপারিশ করেছিল। এর সবগুলো আমলে নেয়নি সরকার। সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশ ও জাতিসংঘের সুপারিশ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য মিলেছে।

দেশে ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তায় আইন হয়েছিল একাধিক। নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন (আইসিটি অ্যাক্ট), ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) ও সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) প্রবর্তন করা হয়। এসব আইন জনগণকে সুরক্ষার বদলে হয়ে ওঠে নিপীড়নমূলক। এ ছাড়া আইনগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে না হওয়া, মতপ্রকাশে বাধা ও বৈষম্যমূলক হওয়ায় দেশ বিদেশে ছিল তুমুল সমালোচনা। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ধারাগুলো সংশোধনের সুপারিশ করে জাতিসংঘ। তবে সংশোধিত অধ্যাদেশেও সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন হয়নি।

কূটনৈতিকরা বলছেন, সংশোধিত অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাদ পড়েছে। অবশ্য মানবাধিকার কর্মীরা সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে তুলনা করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-কে তুলনামূলকভাবে ভালো বলে মন্তব্য করেছেন। তবে তাদের মতে, অধ্যাদেশের কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈততা এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বিষয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সংশোধিত অধ্যাদেশে এখনও অনেক ধারায় অস্পষ্ট সংজ্ঞার মাধ্যমে মতপ্রকাশকে ‘অপরাধ’ হিসেবে রাখা হয়েছে, যা অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে কঠোর শান্তির বিধান, যার ভয়ে ব্যবহারকারীরা মতপ্রকাশে অনুৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি নির্বাহীদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত একটি শক্তিশালী ও কেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক কাঠামো রাখা হয়েছে, সেখানে জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এসব ধারা অতীতের রাষ্ট্রীয় নীতি ও অনুশীলনের কথা মনে করিয়ে দেয়। যার অন্যতম সমালোচক ছিলেন এখনকার কোনো কোনো উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) ১৯ ধারা মেনে চলার বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা একাধিকবার স্মরণ করিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ছিল আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করবে। তবে সংশোধনে তা অনুপস্থিত, যা নিশ্চিত করতে সরকার আইনত বাধ্য। গত মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার, প্রচার ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত আইরিন খান বাংলাদেশকে বলেছিলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করায় তিনি মর্মাহত। যদিও অধ্যাদেশে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অনেক ধারা বাতিল করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক বিষয়, যা নিয়ে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ ছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধনের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয় কিছু ধারা নিয়ে উদ্বেগ ও সুপারিশ করেছিল। অধ্যাদেশে হ্যাকিংয়ের মতো সাইবার অপরাধ ও লিঙ্গভিত্তিক হয়রানিকে এক করে দেখা হয়েছিল। সংশোধনে অপরাধের ভিন্নতা আমলে নিয়ে শাস্তি ও জরিমানা ভিন্ন করেছে সরকার। এ ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংশোধনের ২৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘হুইসেলব্লোয়ার’দের ‘বৃহত্তর জনস্বার্থে’ আইনের আওতায় আনা যাবে না। তবে ‘বৃহত্তর জনস্বার্থে’র ব্যাখ্যা অধ্যাদেশে দেওয়া হয়নি। ফলে ভিন্ন মতপ্রকাশে এ আইনের অপব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।

সংশোধনের ২৩ ধারা সাইবার সন্ত্রাসকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতোই রাখা হয়েছে। ধারাটি অস্পষ্ট, ফলে রাজনৈতিক, মানবাধিকার কর্মীসহ সাংবাদিকদের বৈধ মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করবে। জাতিসংঘ বলছে, এ ধারায় অপরাধের কঠোর শাস্তির পরিপ্রেক্ষিতে সংজ্ঞাটি কঠোর করা এবং আন্তর্জাতিক মান ও বিশ্বজুড়ে ভালো অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূতের মাধ্যমে নির্ধারিত সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা আমলে নেওয়া উচিত।

সংশোধিত অধ্যাদেশে ২৫ ধারায় যৌন হয়রানি, প্রতিশোধমূলক পর্নো, ব্ল্যাকমেইলিং বা অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে আমলে নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। যা ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ বা ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ ছিল না। ২০২৪ সালের অধ্যাদেশে ‘যৌন হয়রানি ও প্রতিশোধমূলক পর্নো’-এর ব্যাখ্যা না থাকলেও সংশোধনীতে দেওয়া হয়েছে। এ ধারায় গোপনীয় তথ্য প্রকাশ বা ক্ষতি করার ভয় দেখায় বেআইনি সুবিধা নেওয়াকে ব্ল্যাকমেইলিং বলা হয়েছে। তবে ‘গোপনীয় তথ্য’ ও ‘ক্ষতি’র ব্যাখ্যা পরিষ্কার নয়। সংশোধনে অশ্লীল বিষয়বস্তুকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। যেখানে অশ্লীলতার পূর্ণ ব্যাখ্যা বা সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়নি। এতে অস্বচ্ছ প্রয়োগ হতে পারে। এ ধারায় ভাষা এখনও কিছুটা বিভ্রান্তিমূলক ও অস্পস্ট থাকায় আইনের প্রয়োগ কঠিন হবে। সেই সঙ্গে আইনত বৈধ মতপ্রকাশও বাধাগ্রস্ত হবে।

সংশোধনের ধারা ২৬-এ সাইবার স্পেসে জাতিগত বিষয়ে সহিংসতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ধারায় ‘ঘৃণা’ বা ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এতে করে অস্পষ্টতা থেকেই গেছে, যা সংখ্যালঘু, ধর্মনিরপেক্ষ মত এবং সমাজ সংস্কারকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। ধারাটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আইসিসিপিআরের ধারা ২০ (২) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

সংশোধনের ধারা ২৭-এ অপরাধ সংঘটনে ‘সহায়তা’ করলে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ‘সহায়তা’ কী তা সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এতে করে এ ধারার ফাঁকে কর্তৃপক্ষ কাউকে অযৌক্তিক ফৌজদারি অপরাধে জড়াতে পারে। এ ধারার অস্পষ্ট ভাষা এবং মামলা-মোকদ্দমা হওয়ার শঙ্কায় ব্যবহারকারী অনলাইন বিতর্কে অংশগ্রহণ বা তথ্য প্রচারে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। এর ফলে সেলফ সেন্সরশিপ ও ভিন্নমত পোষণকারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে।

সাইবার অধ্যাদেশ ২০২৪ সংশোধনের সময় জাতিসংঘের সুপারিশগুলো সরকার আমলে নিয়েছে কিনা– জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে সমকালকে জানায়, জাতিসংঘ থেকে মার্চে যেসব সুপারিশ দিয়েছিল, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জাতিসংঘের সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়েছে কিনা– জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সমকালকে বলেন, সব সুপারিশ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ