Samakal:
2025-11-03@11:00:32 GMT

বসন্তের রঙে বর্ণিল উদযাপন

Published: 15th, February 2025 GMT

বসন্তের রঙে বর্ণিল উদযাপন

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বসন্তবরণ ১৪৩১। ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ, নাচ-গান ও রঙিন সাজসজ্জা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসঙ্গে বসন্তের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এই বর্ণাঢ্য আয়োজন।
প্রতিবছরের মতো এবারও সিএসই অনুষদের উদ্যোগে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয় বসন্ত শোভাযাত্রা, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে, ফুলের সাজে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এরপর দিনব্যাপী ঘুড়ি ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের দেশীয় পিঠার স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি রঙিন ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এবারই প্রথম সিএসই অনুষদের আয়োজনে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়; যা 
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
বিকেলে বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। নাচ-গান ও আবৃত্তির চমৎকার পরিবেশনা ক্যাম্পাসে এক অনন্য উৎসবের আবহ সৃষ্টি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল সিএসই ক্লাব।
উৎসবে অংশ নেওয়া সিএসই অনুষদের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাদিয়া ফারজানা মৌলি বলেন, ‘‘প্রতিবারই বসন্তবরণে লোকজ সংস্কৃতির উপস্থাপন থাকে। পুঁথিপাঠ তার অন্যতম। এবারের পুঁথিপাঠে ‘কমলা সুন্দরী’র আখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, যা দারুণ লেগেছে!’’
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী রিজভী বলেন, ‘পবিপ্রবি ক্যাম্পাস আবারও তার পুরোনো উৎসবের রঙে ফিরেছে!’
একই অনুষদের শিক্ষার্থী তায়েসুর বলেন, ‘এত সুন্দরভাবে সাজানো পবিপ্রবি আমি এবারই প্রথম দেখলাম!’
দিনব্যাপী চলা এ উৎসবে দেশীয় ঐতিহ্যের গান, নাচ, আবৃত্তি এবং নানা রঙের আয়োজন বসন্তকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। 

ষষ্ঠ সেমিস্টার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দুমকি, পটুয়াখালী 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উৎসব র বসন ত স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক