আ.লীগ সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা, নারী নিহত
Published: 22nd, February 2025 GMT
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থক রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় রিয়াজুলের প্রতিবেশি ফুপু ফেরদৌসী বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার তিওরকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফেরদৌসি বেগম তিওরকুড়ি গ্রামের আবদুল জব্বারের স্ত্রী। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের প্রতিবেশি ফুফু। সংঘর্ষে নিহত ফেরদৌসি বেগমের স্বামী আবদুল জব্বারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- রজুফা (৩২), মামুনুর রশীদ (৩৫), আবুল কালাম (৪৮), সাইদুর রহমান (৩৫), মো.
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থক। প্রতিবেশি মামুনুর রশিদ বিএনপির সমর্থক। তাদের দু’পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রিয়াজুলের দখলে থাকা বিরোধপূর্ণ জমি কয়েক দফা দখলের চেষ্টা করেন বিএনপির সমর্থক মামুনুর রশীদ। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা মারামারির ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার সকালে মামুনুর রশিদ তার লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। রিয়াজুল ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোঁটা নিয়ে রিয়াজুলের বাড়িতে হামলা হলে প্রতিবেশি আত্মীয়-স্বজনরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হুদা জানান, হামলায় ফেরদৌসি বেগম গুরুতর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৫-৭ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র য় জ ল ইসল ম এ ঘটন উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম
বন্দরে বাড়ী দেওয়ালে আস্তর করা কাজে বাধা প্রদানের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে রাত্রী আক্তার (২৪)।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত হোসনে আরা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই দিন রাতে বাদী হয়ে হামলাকারি সন্ত্রাসী ইব্রাহিম, মুক্তার, জীবন, হাসনা বানু, সজিব, কালু ও ইলিয়াস মিয়ার নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম একই এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মোক্তারসহ উল্লেখিত এলাকার জীবন, হাসনা বানু, সজিব, কালু ও ইলিয়াসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসত বাড়ি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
গত ২৩ জুলাই বিকাল ৫টায় প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম হাসনা বানুর বসত বাড়ী সিমানা ঘেঁষে কোন প্রকার জায়গা না ছেরে পাকা ভবন নির্মঠু করে আসছে । প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম হাসনা বানু জায়গায় দাড়িয়ে দেওয়ালে আস্তর করতে চাইলে ওই সময় হাসনা বানু মেয়ে রাত্রী আক্তার আস্তর করা কাজে বাঁধা প্রদান করে।
এ ঘটনায় সকল বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে হাসনা বানু বসত বাড়িতে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে বসত বাড়ি ভাংচুরসহ ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গেলে রাত্রী আক্তারকে বেদম মারধর জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে স্নালতাহানী করে।
ওই সময় হামলাকারিরা রাত্রী আক্তারের গলায় থাকা ৮ আনা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন
কোনো কারন ছাড়া মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন নেতৃত্বে উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা হাসনা বানু বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে কোনো কারন ছাড়া এলোপাথারী কিলঘুষি মেরে মারধর সহ আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে।
তারপর বিবাদীগন আমার পরিহিত জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্ললতাহানী করে। আর আমার ও আমার পরিবারের প্রান নাশের ক্ষতি সাধন করবে বলে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম সাবেক ছাত্র নেতা জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পশ্চিম হাজীপুর ও পূর্ব হাজীপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।