ভিডিও নির্মাতাদের মনিটাইজেশনের শর্ত আরও কঠোর করছে ইউটিউব
Published: 11th, July 2025 GMT
ইউটিউবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি নিম্নমানের, পুনরাবৃত্তিমূলক ভিডিওর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এর ফলে ইউটিউবে থাকা ভিডিওর মান কমে যাওয়ার পাশাপাশি মনিটাইজেশন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে ইউটিউব। ১৫ জুলাই থেকে নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হবে।
নতুন নীতিমালায় ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে (ওয়াইপিপি) যুক্ত থাকা নির্মাতাদের মনিটাইজেশনের শর্ত আরও কঠোর করা হয়েছে। নীতিমালার আওতায় পুরোনো একাধিক ভিডিও থেকে ক্লিপ সংগ্রহ করে এআইয়ের মাধ্যমে নতুন ভিডিও তৈরি করা হলে সেগুলো মনিটাইজেশনের আওতায় পড়বে না। নতুন এ পরিবর্তনকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন ভিডিও নির্মাতারা, কারণ বর্তমানে এআই ব্যবহার করে অনেকেই নিয়মিত ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুনইউটিউবে ভিডিও নির্মাতাদের আয় ও ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা০১ জুলাই ২০২৫জেনারেটিভ এআই টুলের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে এআই দিয়ে তৈরি কণ্ঠস্বর, পুরোনো ভিডিও ক্লিপ দিয়ে নিম্নমানের ভিডিও তৈরির সংখ্যা বেড়েছে। এ ধরনের ভিডিওকে অনেকেই ‘এআই স্লোপ’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। মূলত এ ধরনের ভিডিওর বিস্তার ঠেকাতেই নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে ইউটিউব।
আরও পড়ুনবাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলে চাকরি করেন ৪০ জন, বেতনই মাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা১৭ জুন ২০২৫ইউটিউবের নতুন নীতিমালা নিয়ে নির্মাতাদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে। তবে ইউটিউবের হেড অব এডিটোরিয়াল অ্যান্ড ক্রিয়েটর লিয়াজোঁ রেনে রিচি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, পুরোনো নীতিমালার প্রয়োগ আরও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুনরাবৃত্তিমূলক ভিডিও বরাবরই ইউটিউবের মনিটাইজেশন নীতিমালার বাইরে ছিল। আমরা এখন তা আরও স্পষ্টভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নত ন ন ত ম ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’