কমিটি গঠনে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে : মামুন মাহমুদ
Published: 23rd, February 2025 GMT
কমিটি গঠনে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন বলেছেন, গত ১৫ বছরে জনগন স্বাভাবিক ভাবে নি:শ্বাস ফেলতে পারে নাই।
আমরা চাই অতিতের কর্মকান্ড যেন আমাদের মধ্যে থাকে। জনগনের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। আমরা জনগনের সঙ্গে থাকবো এবং জনগণকে সঙ্গে রাখবো।
ভোটের অধিকারের আদায়ের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি জনগনকে সাথে নিয়ে সামনের দিকে পথ চলতে চাই। আমরা জনগনকে ফেলে কখনো পালাবো না। বহু হামলা মামলার শিকার হয়েছি কখনো জনগনকে ফেলে পালিয়ে যাইনি।
কিন্তু অতিতে দেখেছি বাঘ ভাল্কুকরা জনগনকে ফেলে পালিয়ে গেছে। তারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাহিরে পাচার করেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) রাতে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চটলার মাঠে এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বতী সরকার দব্যমূল্যের দাম কিছুতেই কমাতে পারছে না। এই সরকার ৬ মাসে জিনিস পত্রের দাম কমাতে পারছে না। এমনকি নির্বাচনের কোন রোডম্যাপ দিচ্ছে না কবে কখনো নির্বাচন হবে।
দব্যমূল্যের বৃদ্ধি ও নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আন্দোলনের জন্য আবারও মাঠে নামতে হবে। আমরা অতিতেও জনগনের ভোটের আদায়ে আমরা আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম।
জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি সব সময় আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত। আর বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না যেতেই সামাজিকতার কাজ করে যাচ্ছে। আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে বিএনপি কি করবে তা আমাদের ৩১ দফায় তা উল্লেখ করা রয়েছে।
মামুন মাহমুদ আরো বলেন, আজকে ইউনিয়ন যুবদল আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতিতে খেলাধুলার আয়োজন করেছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। কারণ বিগত সময়ে দেখছি যুবলীগ, ছাত্রলীগ কি করতো। তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতাকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করেছে।
মানুষকে হয়রানী সহ চাঁদাবাজি, লুটতরাজ এবং মাদকের কারবারী করতো। আর আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীরা মোবাইলের মধ্যে পড়ে না থেকে সবাইকে খেলাধুলার জন্য মাঠে নিয়ে এসেছে।
অনুষ্ঠানে এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম মাহমুদুল হক আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন, ফতুল্লা থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ আব্দুল খালেক টিপু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজাদ, মজিবুর রহমান, মিজানুর রহমান, কামাল হোসেন, আনিসুর রহমান সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ছ ল ন র রহম ন য বদল র জনগন র আম দ র র জন য ব এনপ ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় যাত্রীদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে মারধরের শিকার স্টেশনমাস্টার
যাত্রীদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে গাইবান্ধা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আবুল কাশেম মারধরের শিকার হয়েছেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনমাস্টার আবুল কাশেম ও এক ব্যক্তি পরস্পরের গেঞ্জি ও শার্টের বুকের অংশ চেপে ধরে আছেন। একপর্যায়ে স্টেশনমাস্টার মাটিতে পড়ে যান এবং তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। দুজন ব্যক্তি এগিয়ে এসে পরিস্থিতি থামানোর চেষ্টা করলেও মারধর থামেনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর স্টেশনমাস্টার উঠে ঘুষি মারলে ওই ব্যক্তি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ট্রেনের দিকে ঠেলে নিয়ে যান। একপর্যায়ে স্টেশনমাস্টারের গায়ে থাকা জামা ছিঁড়ে যায়।
রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন গাইবান্ধা স্টেশনে পৌঁছালে শীতাতপ বগিতে দুই যাত্রীর মধ্যে ওঠা–নামা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় স্টেশনমাস্টার নারী যাত্রীদের আগে নামার পরামর্শ দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এক যাত্রী উত্তেজিত হয়ে তাঁর ওপর চড়াও হন এবং মারধর শুরু করেন।
স্টেশনমাস্টার আবুল কাশেম বলেন, ‘দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ রকম ঘটনার শিকার হব, ভাবিনি। যাত্রীদের সেবা দিতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি আরও বলেন, ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে কাউকে আটক করতে পারেনি।
রেলস্টেশন সূত্র জানায়, ঈদের পরদিন থেকে আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ চলছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশনে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর ট্রেনের শীতাতপ বগিতে দুই যাত্রীর (তাঁদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি) মধ্যে ওঠা–নামা নিয়ে বাগ্বিতন্ডা শুরু হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ের বোনারপাড়া জিআরপি থানায় একটি মামলা হয়েছে। স্টেশনমাস্টার আবুল কাশেম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল রাত আটটার দিকে বোনারপাড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, মারধরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম-পরিচয় এখনই বলা যাচ্ছে না।