চাঁপাইনবাবগঞ্জ সমাবেশে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ
Published: 25th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পৌরপর্কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর অনুষ্ঠাস্থলের অদূরেই দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। ওই সমাবেশে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল হককে বক্তৃতা করতে না দেয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এ নিয়ে আশরাফুল হকের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকতের কর্মী-কমর্থকদের বাগবিতণ্ডা হয়। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মঞ্চের সামনে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের মাঝেই আশরাফুল হক অনুষ্ঠান বর্জন করে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আবারও অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দীন বক্তব্য রাখার সময় অনুষ্ঠানের কাছে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বলেন, “অনুষ্ঠানে আশরাফুল হককে বক্তৃতা করতে না দেয়ার কারণেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন পক্ষেরই কেউ আহত হয়নি। বিষয়টি দলীয়ভাবেই সমাধান করা হবে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীন জানান, বিএনপির সমাবেশস্থলে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ঢাকা/শিয়াম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ অন ষ ঠ ন ব এনপ র আশর ফ ল স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি
গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।
হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”
আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস