চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক নারীর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বারখাইন ইউনিয়নের ঝিওরী এলাকায় আনোয়ারা-বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে সড়কের পাশে একজন নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাঁর পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় পুলিশে খবর দেয়। পরে আনোয়ারা থানার পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী কমিশনার সোহানুর রহমান সোহাগ ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা অজ্ঞাত ওই নারীকে অন্য কোথাও হত্যা করে রাতে গাড়িতে করে মরদেহ সড়কের পাশে রেখে চলে গেছে। মরদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক র প শ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে মারধর, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।