১০ সেকেন্ডে কীভাবে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব বুঝতে পারবেন
Published: 6th, March 2025 GMT
বিষয়টি ঠিক এত কঠিনও নয়
একটা মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় নিন। এমনকি যদি তিনি স্পষ্টবাদী হন, তাহলে আরও কম সময়েই আপনার যা কিছু জানা প্রয়োজন, জানতে পারবেন।
কে কীভাবে ঘরে প্রবেশ করেনঅনেকে ঘরে ঢোকার সময় এত তাড়াহুড়া করেন যে দেখলে মনে হয়, তাঁরা মনে করছেন, তাঁরা ঘরে ঢুকলেই সবাই হাততালি দিয়ে উঠবে। আবার অনেকে এমনভাবে ঢোকেন, যেন সবার নজর এড়াতে চাইছেন। কেউ কেউ আবার ঘরে ঢুকেই এমনভাবে ঘরটা পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন, যেন তাঁরা খুব উন্নতমানের রোবট, খুব সূক্ষ্মভাবে স্ক্যান করে দেখছেন, কার সঙ্গে একটু কথা বলা যায়। ঘরে ঢোকার ধরনের ওপর ভিত্তি করে মানুষকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়—
যাঁরা মনোযোগ চান: তাঁরা খুব বেশি নড়াচড়া করেন। খুব জোরে কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার আগে নাটকীয়ভাবে একটু থামেন। এ ধরনের মানুষেরা বহির্মুখী কিংবা তাঁদের কোনো ব্যাপারে স্বীকৃতি বা মনোযোগ পাওয়ার প্রয়োজন খুব বেশি।
যাঁরা অদৃশ্য হয়ে যেতে চান: তাঁরা এক কোনায় পড়ে থাকেন। ধরতে গেলে কোনো শব্দই করেন না। হয়তো তাঁরা উদ্বিগ্ন থাকেন, হয়তো মানুষজন পছন্দ করেন না।
এই দুইয়ের মাঝামাঝি: এ ধরনের মানুষেরা ভালোভাবেই ঘরের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যান। তাঁদের দেখে মনে হয় না যে তাঁদের কিছু প্রমাণ করার প্রয়োজন আছে। তাঁরা ঘরে উপস্থিত অন্যদের সম্ভাষণ জানান, সরাসরি চোখের দিকে তাকান, কিন্তু তাঁদের আচরণ দেখে মনে হয় না যে তাঁরা কারও মনোযোগ পাওয়ার জন্য খুব বেশি চেষ্টা করছেন। এ ধরনের মানুষ সংখ্যায় সবচেয়ে কম।
আরও পড়ুনআপনিও কি খাওয়ার সময় শব্দ করেন কিংবা খেতে খেতে কথা বলেন২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪যখন কেউ তাঁদের প্রতি মনোযোগ দেয় না, তখন তাঁরা কী করেনমনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে প্রায় সবাই স্বাভাবিক আচরণ করে। কিন্তু যখন সবার মনোযোগ থাকে না, তখন একটা মানুষ কী করে? এটা খেয়াল করলেই তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়।
কথা শেষ হওয়ামাত্রই কি তারা সব মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে থাকেন?
যখন তাঁদের নিয়ে কোনো কথা হয় না, তখনো কি তাঁরা আলোচনায় মনোযোগ ধরে রাখেন?
যখন অন্য কেউ কথা বলতে শুরু করে, তখন কি তাঁরা বিরক্ত হন?
যাঁরা কেবল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেই নিজেদের জাহির করেন, তাঁদের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যাঁরা শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী, তাঁদের ক্রমাগত স্বীকৃতি খোঁজার প্রয়োজন হয় না।
কীভাবে তাঁরা আলোচনায় অংশ নেনআপনি হয়তো কখনো এমন কারও সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, যিনি পুরো আলোচনায় আপনাকে একটি প্রশ্নও করেননি। আবার হয়তো এমন কাউকে পেয়েছেন, যিনি কথার মাঝখানেই আপনাকে বারবার থামিয়ে দিয়ে একা একাই বকবক করে গেছেন। আপনি হয়তো আপনার একটা ছোটখাটো সাফল্যের কথা বললেন; দেখা গেল, তিনি আপনার চেয়েও দ্বিগুণ ভালো কিছু করেছেন! এসব ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখুন।
উপভোগ্য কথোপকথন স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলতে থাকে। শুধু একজনের দ্বারা পুরো আলোচনাটি পরিচালিত হয় না।
অহংকারী মানুষেরা প্রতিটি মিথস্ক্রিয়াকে একক পডকাস্ট পর্বের মতো দেখেন।
ছোট ছোট প্রতিশ্রুতি কি রাখেনবড় বড় প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই। ছোট ছোট প্রতিশ্রুতিগুলোর দিকে খেয়াল করুন।
তাঁরা যদি বলেন, ‘আজকে এসএমএস পাঠাব।’ তখন কি সত্যিই পাঠান? কিংবা যখন বলেন, ‘আমি তোমাকে লিংকটা পাঠাব।’ পরে কি আর পাঠান?
যদি বলেন, ‘চলো, একদিন একসঙ্গে কফি খাই।’ এটা কি শুধু ভদ্রতার খাতিরেই বলা? যদি এসব ছোট ছোট কথা দিয়েই তাঁরা কথাগুলো না রাখেন, তাহলে আসল দায়িত্বগুলো তাঁরা কীভাবে পালন করবেন?
যাঁরা বিনিময়ে কিছুই দিতে পারবেন না, এমন মানুষদের সঙ্গে তাঁদের আচরণ কেমনএকটা মানুষের চরিত্র বোঝার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
একটা মানুষ ওয়েটার, ক্যাশিয়ার, দারোয়ান, কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি, এমনকি রাস্তার ভিক্ষুকের সঙ্গেও কেমন আচরণ করেন, তা খেয়াল করুন।
যখন গল্পের আসরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকেন না, তখন তাঁরা কীভাবে কথা বলেন, তা-ও খেয়াল করুন।
যদি কেউ এমন লোকদের সঙ্গে অবজ্ঞাপূর্ণ বা কোনো রাখঢাক ছাড়াই খারাপ আচরণ করেন, যাঁদের কাছ থেকে তাঁর কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই, তাহলে তিনি খুব একটা ভালো মানুষ নন।
আরও পড়ুনযে অভ্যাসগুলো আপনাকে সবার প্রিয় করে তুলতে পারে১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪তাঁরা কি নীরব থাকেন, নাকি রেগে যানযাঁরা সামান্যতম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলেই রেগে যান, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুব ক্লান্তিকর। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ‘আমি তোমার সঙ্গে একমত হতে পারছি না’—কথাটা শোনামাত্রই এমন আচরণ করতে শুরু করেন যেন আপনি তাঁর বিশাল কোনো ক্ষতি করে ফেলেছেন। আপনি মৃদুভাবে তাঁদের গঠনমূলক সমালোচনা করুন, দেখবেন, পাল্টা তাঁরা আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য আপনাকেই দোষারোপ করতে শুরু করবেন। বলবেন, ‘আপনিই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।’
যদি কেউ ছোটখাটো বিষয়ে সামান্য মতবিরোধই সহ্য করতে না পারে, মেজাজ ঠিক রাখতে পারে না, তাহলে ভেবে দেখুন, আসল সংকটের সময় তাঁরা কী করবেন!
তাঁরা কীভাবে আলোচনা শেষ করেনআলোচনার ইতি কীভাবে টানা যায়, তা নিয়ে অধিকাংশ মানুষ খুব বেশি ভাবে না। কিন্তু বিষয়টি থেকে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
হঠাৎ করে আলোচনা শেষ করা: তাঁরা হুট করে কথা শুরু করেন, হুট করেই শেষ করেন। কোনো বিদায় সম্ভাষণ পর্যন্ত জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না।
আনাড়ি কথাবার্তা: কেউ কেউ আছেন, কথা বলতে বলতে হঠাৎই তাঁদের মনে হয়, এবার থামা উচিত। তারপর তাঁরা আরও কিছুক্ষণ অর্থহীনভাবেই বকবক করতে থাকেন।
কথা একবার শুরু করলে শেষ করতে না চাওয়া: এ ধরনের মানুষের কথা যেন থামতেই চায় না! তাঁরা আলোচনা অহেতুক প্রলম্বিত করেন।
সুন্দরভাবে আলোচনা শেষ করা: অনেকে স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা শেষ করেন। তাঁদের শেষ কথাগুলো একটি দৃঢ় ছাপ রেখে যায়। যাঁরা সামাজিকভাবে নিজেদের উপস্থিতি নিয়ে সচেতন, তাঁরা এভাবেই প্রতিটি আলাপ শেষ করেন।
অনেক মানুষ ভাবে, তারা নিজেদের আসল স্বভাব লুকাতে পারে, কিন্তু আদতে তা সম্ভব নয়। তাঁদের কথাবার্তা, হাঁটাচলা, তাঁদের কাছে ‘অগুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণ—এসব দেখে ধারণা করা যায় তাঁরা আদতে মানুষ হিসেবে কেমন। এসব লক্ষণ ধরতে পারলে আপনি কম সময়েই একটা মানুষকে চিনতে পারবেন।
সূত্র: মিডিয়াম ডটকম
আরও পড়ুনঅন্যের বাসায় গিয়ে যে ৯টি কাজ করলে আপনি ছোট হবেন০৪ ডিসেম্বর ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ ধরন র ম ন ষ খ য় ল কর শ ষ কর ন আচরণ ক প রব ন মন য গ আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিবাদী আচরণের’ অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বললেন আসিফ মাহমুদ
একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কুমিল্লার মুরাদনগরে ‘ফ্যাসিবাদী আচরণের’ অভিযোগ করেছেন একদল ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মুরাদনগর উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বী জনতা’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে মুরাদনগর থেকে আসা সনাতন ধর্মের কয়েকজন কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বাবা ও চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভযোগ করা হয়। তা ছাড়া পুলিশকে ব্যবহার করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে এই উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনকারীরা। তবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এলাকার সাবেক একজন সংসদ সদস্যের অনুসারীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘সর্ব ধর্ম মিশন’র প্রচারক পরিচয় দিয়ে দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ইউসুফ আবদুল্লাহর (আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন) নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করা আওয়ামী লীগের দোসরেরা আজ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার ও ভাইয়ের নেতৃত্বে মুরাদনগরে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং কায়কোবাদ (বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ) সাহেবের সুনামকে নষ্ট করার জন্য তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে আমরা তার (উপদেষ্টার) পদত্যাগ চাই।’
অভিযোগ করে দুলাল দেবনাথ আরও বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ ভুঁইয়ার বাবা আজকে আমার বাড়িতে দুজন হিন্দু কমিউনিটির লোক পাঠিয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি যেন এই প্রোগ্রামে না আসতে পারি। এ ছাড়া আমরা মুরাদনগর থেকে ঢাকায় আসার পথে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজায় গাড়ির কাগজপত্র চেকের (যাচাই বাছাই) নামে এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুরাদনগর উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সহসভাপতি দীন দয়াল পাল। তিনি বলেন, মুরাদনগর উপজেলায় যানজট নিরসনে সাবেক পাঁচবারের এমপি মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেন। তবে পুলিশকে ব্যবহার করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা, চাচাতো ভাই ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মারধর করায়। পরে এই স্বেচ্ছাসেবকদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয় এবং সেদিন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে রাতভর সালিসও চলে। অথচ রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সালিসে বসে বিষয়টি সমাধান করতে আসা বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দেয় এবং পবিত্র ঈদ ও রমজানজুড়ে পুরো মুরাদনগরে পুলিশ ও ডিবি আতঙ্ক বিরাজ করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুরাদ নগর ইউনিয়ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জন রায়, কামাল্লা দেবপরি মন্দির কমপ্লেক্সের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব কুমার সাহা, নিবাস চন্দ্র ঘোষ, দয়ানন্দ ঠাকুর।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এর আগেও একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। আমার কাছে যে তথ্য রয়েছে, কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাকে সামনে রেখে এটি করা হচ্ছে, যারা সাবেক এমপি কায়কোবাদের সঙ্গে রাজনীতি করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী অনেককে এসি বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেককে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা অর্থ দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কায়কোবাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ‘বরং কায়কোবাদ আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক এমপি জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থেকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, বালু উত্তোলন, মাটি উত্তোলনের অবৈধ কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করছেন এবং সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করছেন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘একটা ভিডিওতে দেখেছি, যারা এক সময় কায়কোবাদের ফাঁসি চেয়ে মিছিল করেছিল, তারা এখন কায়কোবাদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন। যদি আপনি মুরাদনগরের সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন কী অবস্থা এলাকার? তাহলে তারা চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের যে অত্যাচার, সে কথা আপনাদের বলবে।’