জয়া আহসান আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন: আশফাক নিপুণ
Published: 14th, March 2025 GMT
জয়া আহসান আওয়াজ ছাড়া খুব নীরবে নিজের কাজটি করে যাচ্ছেন। দুই বাংলার কাজই সমানতালে করছেন এই অভিনেত্রী। এরই মধ্যে ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজের কাজ শেষ করেছেন। এটি নির্মাণ করেছেন ‘মহানগর’খ্যাত পরিচালক আশফাক নিপুণ। প্রথমবার এই নির্মাতার নির্দেশনায় অভিনয় করলেন জয়া।
আশফান নিপুণের ওয়েব সিরিজে যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, “নতুন কোনো কাজ করার আগে তিনটি বিষ খেয়াল করি। এগুলো হলো— গল্প, চরিত্র ও পরিচালক। ‘জিম্মি’ সিরিজে সবকটি মনমতো পেয়েছি।”
জয়া আহসানের সঙ্গে প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করে আশফাক নিপুণ বলেন, “জয়া আহসান দারুণ ও পরীক্ষিত একজন অভিনেত্রী। গল্পের প্রয়োজনে আমরা এমন একজন অভিনয়শিল্পী চেয়েছিলাম, যার অভিব্যক্তি ও অভিনয়গুণে চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠবে। তিনি আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।”
আরো পড়ুন:
বেনারসিতে নজরকাড়া জয়া
জয়ার ‘বাগান বিলাস’
সরকারি নিম্নপদস্থ এক কর্মচারী। গত এক দশকে তার কপালে প্রমোশন জোটেনি। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। তবু তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। একদিন অফিসের স্টোররুমে বড় অঙ্কের টাকার বাক্স পান ওই নারী। তারপর গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া।
এ ছাড়াও ওয়েব সিরিজে আর কে কে অভিনয় করেছেন তা জানাননি আশফাক নিপুণ। আগামী ২৮ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে সিরিজটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আশফ ক ন প ণ কর ছ ন আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।