কল মার্জিং প্রতারণা কী, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে
Published: 23rd, March 2025 GMT
অপরিচিত নম্বর থেকে আসা মাত্র একটি ফোনকল গ্রহণ করলেই হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে প্রতারকদের দখলে। শুনতে অবাক লাগলেও ‘কল মার্জিং’ নামের এ প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ই–মেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টসহ ব্যাংক থেকে অর্থ চুরি করছে একদল প্রতারক।
কল মার্জিং প্রতারণা কী
কল মার্জিং প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ওটিপি (ওয়ান–টাইম পাসওয়ার্ড) সংগ্রহ করে থাকে প্রতারকেরা। এরপর সেই ওটিপি কাজে লাগিয়ে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অর্থ ও তথ্য চুরি করে তারা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে প্রথমে পরিচিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নাম–পরিচয় ব্যবহারে ফোনকল করে থাকে প্রতারকেরা। এসব ফোনকলে সাধারণত বিশেষ অফারসহ নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করা হয়। এরপর ফোনকলটিতে গুরুত্বপূর্ণ বা পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে যুক্ত করার জন্য কল মার্জ করতে বলা হয়। কল মার্জ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ওটিপি নম্বর শোনা যায়। প্রতারকেরা ফোনকলে যুক্ত থাকায় ওটিপি নম্বরটি তারাও শুনতে পায়। এর ফলে ওটিপি নম্বরটি কাজে লাগিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি অর্থ ও তথ্য চুরি করে থাকে প্রতারকেরা।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসক, উচ্চপদস্থ সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তারাই মূলত এ ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কারণ, তাঁদের পরিচিতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা কাজে লাগিয়ে প্রতারকেরা আরও বেশি মানুষকে ফাঁদে ফেলতে পারে।
নিরাপদ থাকার উপায়
কল মার্জিং প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকতে অপরিচিত নম্বর থেকে কোনো ব্যক্তি কল মার্জ করার অনুরোধ করলে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে আলাদাভাবে দুই ব্যক্তিকে ফোন করা যেতে পারে। এ ছাড়া অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোনকল এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সন্দেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা ফোন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল ম র জ ব যবহ র পর চ ত ফ নকল
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।