মেহেদিরাঙা একটি হাত। একই হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা পরানো। বাহারি ডিজাইনে মেহেদির রং নজরকাড়া। সেখানে ইংরেজি হরফে লেখা ‘এস’ বর্ণ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) চিত্রনায়িকা পরীমণি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন; তাতে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ ছবির ক্যাপশনে পরীমণি লেখেন— “ঈদ মোবারক পরী! নিশ্চয়ই জীবনের উত্তম সময়ের জন্যে ধৈর্য্য ধরাটা জরুরি। আল্লাহ ভরসা।” ছবিটি দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, পরীমণি শারীরিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু ছবিটি নিয়ে তৈরি হয় চর্চা। প্রশ্ন উঠে, পরীমণি তার হাতে কেন ‘এস’ বর্ণ লিখেছেন? টেনে আনা হয় গায়ক শেখ সাদীর নাম। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমও খবর প্রকাশ করে।
দিনভর বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছে। এরই মধ্যে নীরবতা ভেঙেছেন পরীমণি। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বেশ খেপেছেন এই নায়িকা।
আরো পড়ুন:
বর্ষাকে নিয়ে পরীমণির দীর্ঘ পোস্ট, অনেক প্রশ্ন
সে যেন দুঃখের কারণ না হয়, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে পরীমণি
এ স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, “জীবনে ফকিরমকিররা যত ব্র্যান্ডিং পাইল জীবনে পরীর জন্যে! কিছু সংবাদের হেডলাইনে এই ‘বা* আআল ছাআআলদের’ এমন করে আমার ঘাড়ে উঠায়ে দেয়, যেন দেশে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর নাই! ঈদের সিনেমাগুলো রমরমা চলতেছে ওইগুলো নিয়া লিখেন।”
হাতে ‘এস’ বর্ণ লেখার কারণ ব্যাখ্যা করে পরীমণি লেখেন “আমার হাতে ‘এস’ আমি ছোটকাল থেকেই লিখি। ব ল দ গুলা।” পরীমণির এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে নেটিজেনদের অনেকে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, “নতুন তো তাই পরীমণির আসল নামও (শামসুন্নাহার স্মৃতি) হয়তো জানেন না।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ