বরগুনার আমতলীতে হারিয়ে যাওয়া একটি পার্সিয়ান প্রজাতির বিড়ালের সন্ধান পেতে শহরজুড়ে মাইকিং করেছেন সানাউল্লাহ নামের এক যুবক। বিড়ালটির ছোট-ছোট সাতটি বাচ্চা থাকায় সেগুলোকে বাঁচাতে মা বিড়ালটির সন্ধানে মাইকিং করেন তিনি।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টিএনটি রোড এলাকার একটি বাসা থেকে বিড়ালটি বের হয়ে হারিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিড়ালটির সন্ধান পেতে মাইকিং করা হয়।

মাইকিং করার সময় বলা হয়, দুপুরে সাদা রংয়ের পার্সিয়ান প্রজাতির একটি বিড়াল হারিয়ে গেছে। বিড়ালটির ছোট-ছোট সাতটি বাচ্চা রয়েছে। এখন যদি মা বিড়ালটিকে খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে বাচ্চাগুলো মারা যাবে। যদি কেউ বিড়ালটির সন্ধান পেয়ে থাকেন, তাহলে মালিক সানাউল্লাহর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন।

আরো পড়ুন:

১০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলো ‘দুষ্টু-মিষ্টির’

বিড়ালটি উপরে উঠছে নাকি নামছে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো.

সানাউল্লাহ বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত মা বিড়ালটির সন্ধান পাইনি। যদি কেউ বিড়ালটি আটকে রাখেন, তাহলে ছেড়ে দিন। নয়তো বাচ্চাগুলোকে বাঁচানো যাবে না।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত দেড় বছর ধরে বিড়ালটি আমাদের বাসায় পুষে রেখেছিলাম। শনিবার দুপুরে মা বিড়ালটি ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও ফিরে না আসায় মনে হচ্ছে, কেউ এটাকে আটকে রেখেছে। এ কারণে বিড়ালের সন্ধানে পেতে মাইকিং করেছি।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ত্র দিয়ে ডাকাত তকমা, উদ্ধার করল নৌবাহিনী 

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ডাকাত তকমা দিয়ে দু’জনকে পিটিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় দেশীয় অস্ত্র। ছবি তুলে ও ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। উত্তেজিত জনতা তাদের ঘিরে রাখে। যদিও অনেকেই জানতেন না, ঘটনাটি সাজানো। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল আহত দু’জনকে উদ্ধার করে। সোমবার রাতে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

উদ্ধার দু’জন হলেন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড চরহেয়ার এলাকার মজিবুল হকের ছেলে আরিফ হোসেন এবং একই ইউনিয়নের মোল্লাবাজার এলাকার মো. আশরাফের ছেলে মো. আসিফ। এদের মধ্যে আরিফ পেশায় রিকশাচালক। 

স্থানীয়রা জানান, জাহাজমারা আমতলী বাজারের পশ্চিম পাশে রাস্তার চর দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন জহির চেরাং, অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন কাউসার। কাউসারপক্ষ অনেক দিন থেকে চরটির দখল নিয়ে আছে। ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে জহির চেরাংয়ের লোকজন চরটির দখল নেওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হয়। পরে প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেলেও দু’জনকে ধরে তারা বাজারে নিয়ে আসে। পরে ওই দু’জনকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পরিকল্পিতভাবে ডাকাত নাটক সাজানো হয়। 

ছবি তুলে ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল অবরুদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নৌবাহিনী ও পুলিশের দুটি গোয়েন্দা দলের তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। 

আসিফের বাবা আশরাফ জানান, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত নেই। অথচ তাঁকে ডাকাত বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর ছেলে নিরপরাধ দাবি করেন তিনি। 

আমতলী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লিটন জানান, চরের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। পরে নৌবাহিনী এসে তাদের নিয়ে যায়। তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কিনা, তাঁর জানা নেই। 

হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, উদ্ধার দু’জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ত্র দিয়ে ডাকাত তকমা, উদ্ধার করল নৌবাহিনী