খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেওয়া ২৫ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। কেএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আহসান হাবিব প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মো.

আহসান হাবিব বলেন, খুলনায় ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ছাড়াও যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ২৫ নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আটক করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র প্রদানের প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনায় চারটি স্থানে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। আজ সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দুপুরের মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার মজিদ সরণি, বয়রা এলাকার মহিলা কলেজ সড়ক ও দৌলতপুরে ঝটিকা মিছিলের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে সকালের দিকে আবার মিছিলের পর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়ার দাবি করেছেন দলটির নেতারা। যদিও জেলা প্রশাসক স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুনখুলনায় আরও তিন স্থানে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, এনসিপি ও বিএনপির উদ্বেগ৩ ঘণ্টা আগে

প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আওয়ামী লীগ এমন মিছিল করার সুযোগ পেয়েছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা এনসিপি। এর আগেই বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। খুলনা বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বিবৃতিতেও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার: রিজওয়ানা হাসান

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ সোমবার সকালে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘দ্য সোল অব জুট’ নামে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

দেশের নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিদেশ থেকে কারা ইনফ্লুয়েন্স করেছে, দেশ থেকে কারা ওই বাসটাকে আগুন দেওয়ার জন্য ইনফ্লুয়েন্স করেছে, নামগুলো আপনারা জানেন। তদন্ত করে সরকার যে নামগুলো পাচ্ছে, সে নামগুলোই দিচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস। এরপর কারও যদি মনে হয় তাঁর কাছে আরও তথ্য আছে, তাহলে সরকারকে জানান।’

সহিংসতা নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, সহিংসতা, ককটেল মারা এসব ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ আছে। গণমাধ্যম চাইলে আতঙ্কটা ছড়াতে পারে; আবার যারা এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের নিন্দা করে সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারে।

গতকাল রোববার রাতে রিজওয়ানা হাসানের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আপনার বাসায় ককটেল মারবে আর আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন, তা তো হতে পারে না। তবে আতঙ্কিত হওয়া এক জিনিস, আর নিশ্চিন্ত না থাকা আরেক জিনিস। এবং সতর্ক হওয়া আরেক ব্যাপার। কথা হচ্ছে যে এ রকম একটা শান্ত পরিবেশে যে এ রকম অস্থিতিশীলতা গড়ে তোলা হচ্ছে, এটার ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন। সরকারের যা করার সরকার তা করবে।’

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য গণমাধ্যম এগিয়ে আসুক। যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায় সে বার্তাটা যেন গণমাধ্যম প্রচার করে।’

গতকাল রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ