ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের ৩ জনকে পুলিশে দিলো ছাত্র-জনতা
Published: 22nd, April 2025 GMT
ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার মুসলিম নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ফতুল্লার মুসলিম নগর এলাকার কামালের ছেলে তালহা শেখ (২২), মহিউদ্দিনের ছেলে কামাল (৫৫) ও জামাল (৪৮)। আটককৃতেদের মধ্যে তালহা শেখ শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমানের অনুসারী।
স্থানীয়রা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আটকৃকৃত তালহা শেখ ছাত্র আন্দোলন দমাতে অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার উপরে নির্যাতন চালিয়েছিলো।
পুত্রের প্রভাবে হাসিনা সরকারের শাসনামলে আটককৃত তালহা শেখ ও পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় মহলে প্রভাব বিস্তার সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা তিন ব্যাক্তিকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে। আটককৃতরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত কিনা তা এখন আমরা নিশ্চিত নই। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আটকক ত
এছাড়াও পড়ুন:
গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসীম ব্যাপারীর ছেলে রাসেল (২৫) এবং গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর ব্যাপারীর ছেলে লোকমান (৩০)।
আরো পড়ুন:
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। গত রাত আড়াইটার দিকে ১০-১২ জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাদের ধাওয়া দেওয়া হলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন তিনজন। পরে আটককৃতদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনি দিয়ে তাদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূরে আলম জিকু বলেন, ‘‘আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে, কারো আঘাতই গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।’’
গজারিয়া থানার ওসি মো. হাসান আলী বলেন, ‘‘জনতার হাতে আটক তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব