পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এসএসসি পরীক্ষায় ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ইব্রাহীমকে ওই বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে সমালোচনার মুখে গতকাল মঙ্গলবার তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী ইউএনও হাসান বিন মুহাম্মদ আলী।

জানা গেছে, ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে তাকে উপজেলা ভোকেশনাল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির সভায় কেন্দ্র সচিব কামরুল ইসলাম ইব্রাহীমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.

রফিকুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন সচিব দায়িত্ব পেয়ে আজ বুধবার ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনা করেন। 

নতুন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাবনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে কেন্দ্র সচিব করায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে কেন্দ্র কমিটির সভায় কামরুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্র সচিব মো. কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম সমকালকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলা ভোকেশনাল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে তিনি তিনটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছেন। পরে অসুস্থতার অজুহাতে তাকে কেন্দ্র সচিব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে কারও ক্ষতি করেননি তিনি।  

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, এসএসসি ভোকেশনাল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম অসুস্থ। তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন। এ কারণে তাকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ পর ক ষ উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভর্তির দরকারি তারিখ—

১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।

২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।

৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।

ভর্তির যোগ্যতা—

১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd

ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —

১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।

২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।

৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—

১. দুই কপি ছবি।

২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

ভর্তি ও অন্যান্য ফি—

অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,

রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,

কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,

একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,

ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,

পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,

প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,

মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।

বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।

২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।

# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • ‘লাল পরি’ হয়ে ঘরে ফিরল হারিয়ে যাওয়া শিশুটি