সরকারি সফরে কাতার গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় করবেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফর শেষে আগামী ৫ মে দেশে ফিরবেন সেনাবাহিনী প্রধান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুড়ল পুলিশি হেফাজতে থাকা ৩ অটোরিকশা
পাবনায় জব্দকৃত তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় আগুনে পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ জুন) সকালে পুলিশ লাইনের স্টাফ মেসের সামনের মাঠে রাখা অটোরিকশাগুলো আগুনে পুড়ে যায়।
পুলিশের ধারণা, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি ঘটেছে। ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী চালকরা।
গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) অটোরিকশাগুলো আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
মাদক করাবারির বাড়িতে আগুন দিলেন স্থানীয়রা
নারায়ণগঞ্জে মার্কেটে আগুন, ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
পুলিশ ও ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার গাছপাড়া বাইপাস থেকে ফিটনেস ও কাগজপত্রে ত্রুটি থাকার অভিযোগে কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে জরিমানা ও মামলা দেয় যৌথ বাহিনী। পরে জব্দকৃত অটোরিকশাগুলো পুলিশ লাইন কম্পাউন্ডে স্টাফ মেসের সামনের মাঠে রাখা হয়। আজ শনিবার সকালে হঠাৎ তিনটি অটোরিকশা থেকে আগুন ও ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে, এর আগেই একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত এবং আরো দুইটি আংশিক পুড়ে যায়।
পাবনা সদর উপজেলার জোত আদম গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হয়ে খুইয়েছেন নিজের সর্বস্ব। দুই মাস আগে জমি বন্ধক রেখে প্রায় ৩ লাখ টাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিনে নিজেই চালাতে শুরু করেন তিনি। তার অভিযোগ, গাড়ি কেনার পর থেকে সড়কে পুলিশি কোনো ঝামেলা দেখেননি তিনি। গতকাল শুক্রবার অন্যদের সঙ্গে তার অটোরিকশা আটক করা হয়। মামলা দেয় ১০ হাজার টাকার। এরপর নিজে চালিয়ে কোনোরকম ত্রুটিহীন অটোরিকটি পুলিশ লাইনের মাঠে রেখে যান বলে দাবি করেন তিনি।
হাফিজুল ইসলাম বলেন, “আমি নিজে গাড়ি পুলিশ লাইনের ভেতরে রেখে গেছি। পুলিশ চাবি নিয়ে মামলার টোকেন ধরিয়ে দিল। টাকা নাই, বাধ্য হয়ে চাচার থেকে ধার করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মামলা ভাঙিয়ে আসার পর পুলিশ বলছে, একাই আগুন লেগে গাড়ি পুড়ে গেছে। গিয়ে দেখি গাড়ি একেবারে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। শুধুমাত্র সামনের গ্লাসটা আছে। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি। এর মধ্যে পুলিশি হেফাজতে কিভাবে গাড়িতে আগুন লাগল? তিন লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ এখন কে দেবে? হয় অক্ষত অবস্থায় আমার গাড়ি ফিরিয়ে দিক, না হয় দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক। তাছাড়া আমি কিভাবে সংসার চালাব।”
চাটমোহরের চালক কবির হোসেন বলেন, “আমার অটোরিকশা অর্ধেক পুড়ে গেছে। এই পোড়া গাড়ি ঠিক করাতে অনেক টাকা লাগবে। এই টাকা কোথায় পাব? আমি আমাদের গাড়ির ক্ষতিপূরণ চাই।”
আটঘরিয়ার অটোরিকশা চালক মোস্তফা কামাল বলেন, “হঠাৎ সকালে শুনি গাড়িতে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে জানলাম, আমার গাড়ির পেছনের তিনটা গাড়িতে আগুন লেগেছে। অল্পের জন্য আমারটা বেঁচে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়- পুলিশের কাছে আমাদের গাড়ি নিরাপদ কি না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মশিউর রহমান মন্ডল বলেন, “বিষয়টি পুরোপুরি জানি না। শুনেছি, একটি অটোরিকশায় হঠাৎ আগুন লাগে। সেই আগুনে দুইপাশে থাকা দুইটি অটোরিকশার কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
আগুন লাগা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অটোরিকশার সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে এমনটি ঘটতে পারে। সেটির দায় তো পুলিশ নেবে না। তাছাড়া পুরো পুলিশ লাইন এরিয়া সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। ঠিক কিভাবে আগুন ধরলো সেটি খতিয়ে দেখা হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ