বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল
Published: 4th, May 2025 GMT
কানাডার বিনিযোগকারীরা জ্বালানি, পর্যটন ও কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাক্ষাৎকালে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বিনিয়োগের এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল।
রবিবার (৪ মে) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিকের পল থোপিল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.
কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, উইন উইন বিজনেস রিলেশন দুই দেশের জন্য সুবিধাজনক হবে।
কানাডাকে বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে নবায়ন যোগ্য জ্বালানির বেশ চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রামের মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন ব্যবহারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে জমি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। কানাডার ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করে নিজেরা লাভবান হতে পারে এবং বাংলাদেশকেও লাভবান হতে সাহায্য করতে পারে।”
পল থোপিল বলেন, “বাংলাদেশ কানাডার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য ক্রেতাও দেশটি। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপকে কার্যকর করা ও এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।”
কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন, “বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি,পশু পালন ও দুগ্ধজাত খাত, নবায়ন যোগ্য জ্বালানি খাত, বিমানবন্দর আধুনিকীকরণ, কার্গো ভিলেজে সুবিধা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের বিকাশে আন্তর্জাতিকমানের হোটেল নির্মাণ বিনিয়োগে তার দেশ আগ্রহী।”
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন ড র ইন দ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
উচ্চগতির ট্রেনে লাফিয়ে উঠে গ্রেপ্তার
অস্ট্রিয়ায় উচ্চগতির একটি ট্রেন যাত্রাবিরতিতে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল, এক যাত্রী ভাবলেন এই ফাঁকে স্টেশনে নেমে একটু ধূমপান করা যাক। যেমন ভাবনা তেমন কাজ—ওই যাত্রী স্টেশনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছিলেন। এদিকে যাত্রাবিরতি শেষে নির্ধারিত সময়ে চলতে শুরু করেছে ট্রেন।
স্টেশনে নেমে যাওয়া ওই যাত্রী যতক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি টের পান, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। ট্রেনটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম প্রায় পেরিয়ে যাচ্ছিল। ওই ব্যক্তি ট্রেনের পেছনে ছুটতে শুরু করেন, লাফিয়ে উঠে পড়েন দুই বগির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায়!
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ভিয়েনা থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে সেন্ট পোল্টেন স্টেশনে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন আলজেরীয় এক তরুণ, বয়স ২৪ বছর। তিনি যে ট্রেনটিতে লাফিয়ে ওঠেন, সেটি ইউরোপে চলাচল করা উচ্চগতির ‘রেলজেট’ ট্রেন। এই ট্রেন সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। ট্রেনটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে ভিয়েনা যাচ্ছিল।
স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তি যখন ট্রেনে লাফিয়ে ওঠেন, তখন সেটি কত কিলোমিটার গতিতে চলছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আলজেরীয় ওই তরুণ লাফিয়ে দুই বগির মাঝের জায়গায় উঠেই অন্য যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হাত দিয়ে জোরে জোরে ট্রেনের জানালায় বাড়ি দিতে শুরু করেন। পরে জরুরি ব্রেক চেপে ট্রেন থামিয়ে ওই ব্যক্তিকে সেখান থেকে বের করে ট্রেনের ভেতরে নেওয়া হয়। অস্ট্রিয়ার একটি পত্রিকা বলেছে, ওই তরুণকে ভেতরে নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ট্রেনের কর্মীর তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়।
অস্ট্রিয়ান রেলের (ওবিবি) একজন মুখপাত্র বলেন, এ কাণ্ডের কারণে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাত মিনিট বিলম্বে ভিয়েনা পৌঁছায়।
ওই মুখপাত্র এএফপিকে আরও বলেন, ‘এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ; এ ধরনের ঘটনা সাধারণত মৃত্যুর মধ্য দিয়েই শেষ হয়। আর আপনি এতে শুধু নিজেকেই বিপদে ফেলছেন না; যদি ট্রেনের নিচে চলে যান, তখন উদ্ধারকর্মী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস—সবাইকে আসতে হবে।’
সৌভাগ্যক্রমে ওই তরুণ প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেননি। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।