চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সুষ্ঠু আয়োজনে সর্বোচ্চ নম্বরই দিতে হবে পাকিস্তানকে। নম্বর দেওয়ার কথা আসছে, কারণ পাকিস্তান নিজেরাই গত ফেব্রুয়ারি-মার্চের বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট আয়োজনকে নিজেদের জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে নিয়েছিল। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, করাচি মিলিয়ে সেই পরীক্ষায় তারা বেশ ভালোভাবেই উত্তীর্ণ। ভারতীয় দল সরকারি নির্দেশনা মেনে সেখানে না গিয়ে নিজেদের ম্যাচগুলো দুবাইতে গিয়ে খেললেও তাতে স্বাগতিক পাকিস্তানের দায় ছিল না। রোহিত-কোহলিদের আতিথেয়তা দিতে প্রস্তুতই ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বাগতিকেরা।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে আরও বৈরিতার বিষ ঢেলেছে। ভারত এই হামলার জন্য দায় দিয়েছে পাকিস্তানকে, যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে দুই দেশই কিছুটা যুদ্ধংদেহী মনোভাবে আছে এখন।

নতুন এই সংকট দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশের মধ্যে থাকা তিক্ত ক্রিকেটীয় সম্পর্কটিকেও আরও অম্লাত্মক করবে সন্দেহ নেই। সংকট দীর্ঘায়িত হলে উপমহাদেশ, এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটেও এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার তো এরই মধ্যে একটা তির ছুড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি স্পোর্টস টুডেকে তিনি বলেছেন, সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপে পাকিস্তান থাকবে বলে তিনি মনে করেন না, ‘ভারত সরকার যা বলে বিসিসিআই তা-ই করে। এশিয়া কাপের বেলায় ভিন্ন কিছু হওয়ার কথা নয়। এবার তো ভারত, শ্রীলঙ্কা যৌথ আয়োজক। দেখার বিষয় (ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক) পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় কি না। যদি না হয়, আমি পাকিস্তানকে এশিয়া কাপে দেখছি না।’

বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত এটাই ঠিক আছে। যদি নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা বা আনঅ্যাভয়েডেবল কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, বোর্ড তখন অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।ফারুক আহমেদ, বিসিবি সভাপতি

সেপ্টেম্বর তো দূরে, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পাকিস্তান-ভারত সম্পর্ক এখনই জটিল ভাবনার খোরাক জোগাচ্ছে। চলমান অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই এ মাসের শেষ দিকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। ১৭ ও ১৯ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, সূচি অনুযায়ী ম্যাচ দুটি খেলে সেখান থেকেই বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে যাবে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে। ২৫, ২৭ ও ৩০ মে এবং ১ ও ৩ জুন লাহোর আর ফয়সালাবাদে হবে ম্যাচগুলো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে—বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফর কতটা স্বস্তির হবে বাংলাদেশ দলের জন্য?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গত বছরের আগস্ট–সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত ল দ শ দল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছিল’

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ