স্ত্রীকে মারধর করতে নিষেধ করায় বড় ভাই আব্দুল ওহাব মন্ডলকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই আরব মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওহাব মন্ডলের। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল ওহাব শুকচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মন্ডলের ছেলে। অভিযুক্ত আরব মন্ডল নিহতের আপন ছোট ভাই। তিনি গত ১৫ দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ৩টার দিকে ছোট ভাই আরব আলী তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এসময় বড় ভাই আব্দুল ওহাব মারতে নিষেধ করে বলেন, তাকে মারধর করার দরকার নেই। তার বাড়িতে খবর দে, এসে নিয়ে যাক। মেয়েটি যদি মারা যায় তাহলে বিপদ হবে। 

এ কথার পর বড় ভাই ওহাবকেও মারপিট শুরু করেন ছোট ভাই। বড় ভাই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তিনি বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে গিয়ে তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন ছোট ভাই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছিলেন। পথে মৃত্যু হয় বড় ভাইয়ের। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ছোট ভাই আরব আলীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।

নিহতের শ্যালক আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, “এর আগেও কয়েকবার আমার দুলাভাইকে হত্যার উদ্যেশে মারধর করেছে। গতকাল রাত ৩টার দিকে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমরা তার শাস্তি দাবি করি।”

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরব মন্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় বড় ভ ই এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুসারে, মানব উন্নয়ন সূচকে এবার ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। এর আগের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছিল ১৩১তম। 

মাথাপিছু আয়, শিক্ষা এবং জন্মের সময় প্রত্যাশিত গড় আয়– এই তিনটি প্রধান সূচকের ওপর ভিত্তি করে মূলত হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স বা মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) গণনা করে থাকে ইউএনডিপি। এবারের তথ্য-উপাত্ত ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এর আগে প্রতিবেদনটি ছিল ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে।

ইউএনডিপির এবারের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৭ বছর। গড় স্কুল শিক্ষা ৬ দশমিক ৮ বছর। ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর মানব উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও দরিদ্র ৪০ ভাগ মানুষের হাতে আছে মাত্র ২০ দশমিক ৪ শতাংশ আয়। ধনী ১০ ভাগ মানুষের কাছে আছে ২৭ দশমিক ৪ ভাগ আয়। সর্বোচ্চ ধনীদের ১ শতাংশের হাতে আছে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ আয়।

প্রতিবেদনে থাকা দেশগুলোকে মানব উন্নয়নের ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে– অতি উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি ও নিম্ন পর্যায়ের মানব উন্নয়ন। মাঝারি মানব উন্নয়ন ক্যাটেগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতও এবার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১৩০তম অবস্থানে আছে। এর আগের প্রতিবেদনে ভারত ছিল ১৩৩তম স্থানে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ