স্ত্রীকে মারতে নিষেধ করায় বড় ভাইকে হাতুড়ি পেটায় হত্যা
Published: 7th, May 2025 GMT
স্ত্রীকে মারধর করতে নিষেধ করায় বড় ভাই আব্দুল ওহাব মন্ডলকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই আরব মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওহাব মন্ডলের। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল ওহাব শুকচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মন্ডলের ছেলে। অভিযুক্ত আরব মন্ডল নিহতের আপন ছোট ভাই। তিনি গত ১৫ দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ৩টার দিকে ছোট ভাই আরব আলী তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এসময় বড় ভাই আব্দুল ওহাব মারতে নিষেধ করে বলেন, তাকে মারধর করার দরকার নেই। তার বাড়িতে খবর দে, এসে নিয়ে যাক। মেয়েটি যদি মারা যায় তাহলে বিপদ হবে।
এ কথার পর বড় ভাই ওহাবকেও মারপিট শুরু করেন ছোট ভাই। বড় ভাই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তিনি বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে গিয়ে তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন ছোট ভাই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছিলেন। পথে মৃত্যু হয় বড় ভাইয়ের। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ছোট ভাই আরব আলীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহতের শ্যালক আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, “এর আগেও কয়েকবার আমার দুলাভাইকে হত্যার উদ্যেশে মারধর করেছে। গতকাল রাত ৩টার দিকে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমরা তার শাস্তি দাবি করি।”
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরব মন্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় বড় ভ ই এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে মোদি–সিকে পুতিনের ফোন
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে গত শুক্রবার চীন, ভারত ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি।
ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনায় বসতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত পুতিনকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অন্যথায় রাশিয়া ও দেশটির কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনা দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে জেলেনস্কি বললেন, তাঁরা কিছুই অর্জন করতে পারবেন না৩ ঘণ্টা আগেচীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং টেলিফোনে কথা বলার সময় পুতিনকে বলেন, ইউক্রেন সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা দেখে চীন সন্তুষ্ট। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বিভেদের সময় চীন তাদের বড় সমর্থক ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আগামী মাসে চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের।
রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার ‘দণ্ড’ হিসেবে গত সপ্তাহে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এর কয়েক দিন পর মোদির সঙ্গে পুতিন টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টেলিফোনে আলাপ হয়েছে।
আরও পড়ুন১৫ আগস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বসবেন ট্রাম্প, ইঙ্গিত দিলেন অঞ্চল বিনিময়ের১৬ ঘণ্টা আগেএ বিষয়ে মোদি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আমরা বন্ধু পুতিনের সঙ্গে অত্যন্ত সুন্দর ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করায় আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে পুতিন টেলিফোনে আলাপ করেছেন। রামাফোসা জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে এমন শান্তির উদ্যোগে তিনি পূর্ণ সমর্থন জানান।
এদিকে শুক্রবার দীর্ঘদিনের মিত্র ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পুতিন। এ ছাড়া কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফের সফর নিয়ে কথা বলেন পুতিন।