পাকিস্তানে ভারতের হামলায় এনসিপির উদ্বেগ
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, হামলা দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে, যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি আঘাত করেছে। উভয়পক্ষকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।
আজ বুধবার দলটির বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থান করা পলাতক ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের হাজারও নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিতে চক্রান্তে লিপ্ত। তারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং নাশকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান-মালের ক্ষতি সাধনে সক্রিয় রয়েছে।
সরকার এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি এনসিপি সীমান্তে নজরদারি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলেছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
মেহেরপুরে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে চাচা শ্বশুর নিহত
মেহেরপুরের গাংনীতে ইলিয়াস হোসেন (৪৪) নামে এক ব্যাক্তি ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি সম্পর্কে ছুরিকাঘাতকারীর চাচা শ্বশুর।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোরে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের স্কুল পাড়ায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইলিয়াস হোসেন গাড়াবাড়িয়া স্কুল পাড়ার মৃত লেকসার আলীর ছেলে। ছুরিকাঘাতকারী জামাই সবুজ একই উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ময়নাল আলীর ছেলে।
নিহত ইলিয়াসের ভাই ইমদাদুল হক বলেন, “জামাই সবুজ ভোর রাতে বাড়িতে এসে শ্যালক আব্দুল্লাহ ও স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। ইলিয়াস পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে সবুজ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে। পেটে ছুরিকাঘাত করলে ভুড়ি বের হয়ে যায়। আহতবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।”
সবুজের শ্যালক আব্দুল্লাহ বলেন, “বোন জামাই মাদকাসক্ত, টাকা চেয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে আমার বোনকে তিন দিন আগে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বোন আমাদের বাড়ি চলে এসেছে। বোনকে নিয়ে যাবার অজুহতে গত রাতে আমাদের বাড়ি আসে সবুজ। সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে আমার চাচাকে কুপিয়েছে সবুজ। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও আঘাত করেছে। আমি সবুজের ফাঁসি চাই।”
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘাতক সবুজকে পরিবার ও স্থানীয়রা আটক করে একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে, পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ফারুক/টিপু