লালমনিরহাটের তরুণদের সামাজিক সংগঠন জেন-জি লালমনিরহাটের উদ্যোগে ফ্ল্যাশমব হয়েছে। বৃহত্তর রংপুরের পাঁচটি জেলায় তিস্তা নদী রক্ষার চলমান আন্দোলনে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরের বটতলা বাসস্ট্যান্ডে, দুপুর ১২টায় মোস্তফিরহাটে ও বেলা ১টায় ঢাকা-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের বড়বাড়ি এলাকায় এই ফ্ল্যাশমব অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্ল্যাশমবের উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও লালমনিরহাট-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী আসাদুল হাবিব (দুলু)।

ফ্ল্যাশমবের শিল্পী, কলাকুশলীরা নৃত্য, নাট্যাভিনয় ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরেন তিস্তা নদী ভাঙনসহ তিস্তা নদীপারের মানুষের যাপিত জীবনের করুণ বাস্তবতা। ফ্ল্যাশমবে আরও ফুটিয়ে তোলা হয় তিস্তাপারের সংস্কৃতি ও জীবনশৈলী। এ সময় বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান।

জেন-জি লালমনিরহাটের আহ্বায়ক শহিদ ইসলাম (সুজন), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান (শাকিল), সদস্যসচিব আয়শা সিদ্দিকা (কথা), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাহ্ হিয়াতুল হাবীব (মৃদুল), যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ আহাম্মেদ (রোকন), স্থানীয় শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সামাজিক সংগঠক ও সাংবাদিকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের চলমান নানান কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করেন ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানি ও সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান। ফ্ল্যাশমবে অংশ নেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ঝংকার যুব সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং অদম্য যুব সংগঠনের সদস্যরা।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব বলেন, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দলমতনির্বিশেষে এতে অংশগ্রহণ করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। তরুণদের সামাজিক সংগঠন লালমনিরহাট জেন–জির এ ফ্ল্যাশমব আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

বাসদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল, ‘বাম বিকল্প’ গড়ার আহ্বান

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৮তম বার্ষিকী আজ ৭ নভেম্বর, শুক্রবার। দিনটি উপলক্ষে আজ বিকেলে রাজধানী ঢাকায় লাল পতাকা মিছিল করেছে বাসদ। এর আগে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় ‘বাম বিকল্প’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব, পল্টন, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও বায়তুল মোকাররম ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর বাসদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সময়ের পরিক্রমায় দলটি কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিলের আগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও সদস্য জুলফিকার আলী। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় বাম বিকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে নেতারা বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, শ্রমিক, জনতা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী সরকারকে হটাল। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও গণমানুষের স্বার্থের বদলে সংস্কার, আদেশ, গণভোট ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে সময়ক্ষেপণ করছে।

বাসদের নেতারা বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরও বৈষম্যবিরোধী চেতনার বিপরীতেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিকের চাকরি, মজুরি, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, বেকারত্ব দূর করা, নারীদের লাঞ্ছনা, অপমান ও নির্যাতন রোধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্র কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও সম্প্রতি নির্বাচন বানচালের নানামুখী ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। খুনোখুনিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে।
নেতারা মনে করেন, নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র দেশকে আরও ভয়ানক সংকটে ঠেলে দেবে। দেশবাসীকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ