সংরক্ষণ করা আলু না পেয়ে কৃষকেরা সাথী হিমাগারের ব্যবস্থাপকের কক্ষে ভিড় করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাসদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল, ‘বাম বিকল্প’ গড়ার আহ্বান

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৮তম বার্ষিকী আজ ৭ নভেম্বর, শুক্রবার। দিনটি উপলক্ষে আজ বিকেলে রাজধানী ঢাকায় লাল পতাকা মিছিল করেছে বাসদ। এর আগে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় ‘বাম বিকল্প’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব, পল্টন, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও বায়তুল মোকাররম ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর বাসদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সময়ের পরিক্রমায় দলটি কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিলের আগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও সদস্য জুলফিকার আলী। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় বাম বিকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে নেতারা বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, শ্রমিক, জনতা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী সরকারকে হটাল। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও গণমানুষের স্বার্থের বদলে সংস্কার, আদেশ, গণভোট ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে সময়ক্ষেপণ করছে।

বাসদের নেতারা বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরও বৈষম্যবিরোধী চেতনার বিপরীতেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিকের চাকরি, মজুরি, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, বেকারত্ব দূর করা, নারীদের লাঞ্ছনা, অপমান ও নির্যাতন রোধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্র কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও সম্প্রতি নির্বাচন বানচালের নানামুখী ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। খুনোখুনিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে।
নেতারা মনে করেন, নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র দেশকে আরও ভয়ানক সংকটে ঠেলে দেবে। দেশবাসীকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ