বেসরকারি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ব্যাংকটি ফরেন ট্রেড অপারেশনস বিভাগে ‘অফিসার’ পদে কর্মকর্তা নিয়োগে প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ফরেন ট্রেড অপারেশনসে অফিসার পদে কতজন নেবে, তা নির্ধারিত নয়। পূর্ণকালীন এ চাকরিতে বেতন আলোচনাসাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।

অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন

প্রার্থীর বয়স: আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ৪০ বছর (১ মে ২০২৫ তারিখে) হতে হবে

কর্মস্থল: চট্টগ্রাম, ঢাকা;

আবেদনের যোগ্যতা:

*স্নাতকোত্তর অথবা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে

*শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়

*ন্যূনতম ৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনছুটির প্রজ্ঞাপন দিল সরকার, যে যে নির্দেশনা থাকছে তাতে৪ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে—

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ তারিখ: আগ্রহী প্রার্থীরা ২৪ মের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনচীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, মিলবে বই কেনারও অর্থ, আইইএলটিসে ৭ হলে আবেদন৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ