পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ে সফর বাতিল করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৩-১৭ মে এসব দেশে সফরের পরিকল্পনা ছিল মোদির। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
খবরে বলা হয়েছে, নরওয়েতে আয়োজিত নর্ডিক সম্মেলনে সহ-সভাপতিত্ব করার কথা ছিল ভারতের। সেখান থেকে আরও দুটি দেশ সফর করতেন তিনি।
এদিকে নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফর স্থগিতের বিষয়ে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো কারণ জানানো হয়নি। তবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলার কয়েক ঘণ্টা পর তার সফর স্থগিতের এই ঘোষণা এসেছে।
পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ভারতের সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন মোদি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ এই অভিযানকে ‘গর্বের মুহূর্ত’ বলে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। পাকিস্তানে নিখুঁত ও সুপরিকল্পিত অভিযান পরিচালনা হয়েছে বলে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। হামলায় পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় হামলার পরদিন রোববার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলার।
তবে শেয়ারবাজারে সার্বিকভাবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। ডাও ফিউচারস সূচক ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস এবং নাসডাক ফিউচারস— উভয় সূচকই প্রায় শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতার মধ্যেই মার্কিন ডলারের মান বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈশ্বিক সংকট ও অনিশ্চয়তার সময়ে ডলারের মান সাধারণভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে এই প্রবণতা এবার কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা ও মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি জ্বালানি ও বিনিয়োগ খাতে পড়ছে।
রোববার বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
এই প্রণালি বন্ধ থাকলে বিশ্ববাজারে তার বড় প্রভাব পড়বে। বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়।