প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবার পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন। ১১ মে রোববার দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকের বিষয় ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বৈঠক আয়োজনের কথা জানিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

চিঠিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় আজ বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেন হওয়া সিংহভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই বড় ধরনের দরপতন হয়। পতনের ধারা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

ঢাকার বাজারের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গতকালের তুলনায় ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৮০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে আজ ৩৮৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচু৵য়াল ফান্ডের দাম কমেছে। বেড়েছে ৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির দাম।

এ ছাড়া আজ সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৭০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৮৭টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুধু অর্থ উপদেষ্টা, বিএসইসি চেয়ারম্যান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন না প্রধান উপদেষ্টা। যমুনায় রোববার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ডিএসই, সিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, ব্রোকাস৴ অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিদের থাকা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, সব পক্ষের প্রতিনিধি ছাড়া বৈঠক করলে বাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে একপেশে ও অসম্পূর্ণ ধারণা পাবেন প্রধান উপদেষ্টা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৯৭৫তম কমিশন সভায় এই বন্ড অনুমোদন করেছে কমিশন। বিএসইসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

প্রিফারেন্স শেয়ার, বন্ডের বিনিয়োগ সিআইবিতে রিপোর্ট করতে নির্দেশ

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন

ব্র্যাক ব্যাংক:
ব্র্যাক ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন রেয়ারিং, ফ্লোটিং রেট, সোস্যাল সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কুপর মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্র্যাক ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল: 
কমিশন সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল,রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক: 
কমিশন সভায় ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন কনভার্টিবল, রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, বিনিয়োগ প্রতারণার ফাঁদ
  • তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন