শনিবার বোর্ড মিটিং, পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নিবে বিসিবি
Published: 8th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) সবশেষ বোর্ড সভা হয়েছিল ২৯ এপ্রিল। ভার্চুয়াল সেই সভায় বোর্ড পরিচালকরা বিসিবির আর্থিক রিপোর্ট অ্যাপ্রুভ করেছিলেন। আগামী শনিবার (১০ মে) বোর্ড নতুন করে সভা ডেকেছে। এবারের ইস্যুটি বড় হওয়ায় বিসিবি কার্যালয়েই হবে মিটিং। সভার সবচেয়ে বড় ইস্যু জাতীয় দলের আসন্ন পাকিস্তান সফর।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শারজাহতে দুই টি-টোয়েন্টি খেলার পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আগামী ২১ মে পাকিস্তানে যাওয়ার সূচি রয়েছে। লাহোর ও ফয়সালাবাদে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা। কিন্তু কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার জেরে নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যা রীতিমত উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থায় পাকিস্তানে দল পাঠানো ঠিক হবে কিনা এবং পাকিস্তানও সিরিজ আয়োজন করতে পারবে কিনা সেসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশায় থাকায় আগাম মন্তব্যও করতে রাজি নয় বিসিবি। শনিবার বোর্ড সভায় পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। এমনটাই জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
নাহিদ-রিশাদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টায় বিসিবি
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে বাংলাদেশ
পাকিস্তানে এখন পাকিস্তান সুপার লিগ চলছে। রাওয়ালপিণ্ডিতে আজ করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির ম্যাচ ছিল। যেই ম্যাচটির ভেন্যুতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। ম্যাচটি স্থগিত করেছে পাকিস্তান। বিদেশি খেলোয়াড়রা পিসিবি সভাপতি নাকভির সঙ্গে বৈঠক করে পাকিস্তান ছাড়তে চেয়েছেন। এ অবস্থায় টুর্নামেন্টের বাকি অংশ নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এমতবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ