বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন তিন উপদেষ্টা
Published: 8th, May 2025 GMT
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পরিদর্শনকালে তারা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করেন।
এরপর উপদেষ্টারা সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এর সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পর্কিত একটা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন সেশনে অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও বশিরউদ্দীন
বিমানের টিকিট ভাড়া কমাতে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল আটাব
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.
সভায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সামর্থ্য নেই, তারপরও বাধ্য হয়ে কিনতে হয় গাইড বই
হযরত আলী ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পড়ে ভোলা সদরের কন্দর্পপুর গ্রামের ওবায়দুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০২২ সালে মাছ ধরতে গিয়ে তার বাবা কামাল হোসেন মেঘনা নদীতে মারা যান। নদীগর্ভে বিলীন হয় তাদের ঘরবাড়ি। মায়ের সঙ্গে সে আশ্রয় নেয় মামার বাড়িতে। এই দারিদ্র্যের মধ্যেও মা শাহিনুর বেগমকে ছেলের জন্য ১ হাজার ৯৫০ টাকা দিয়ে এক সেট গাইড ও গ্রামার বই কিনতে হয়েছে।
শাহিনুর বেগম প্রথম আলোকে বলেন, এত টাকা খরচ করা তাঁর পক্ষে কঠিন। কিন্তু শিক্ষকদের চাপাচাপির কারণে তিনি কিনতে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া টাকার অভাবে ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতে না পারার কষ্ট আছে তাঁর।
আরেক অভিভাবক ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর এলাকার হাসিনা বানু (৩০)। সংসারের কাজের পাশাপাশি বাসায় তিনি হোগলাপাতার রশি বুনে কিছু আয় করেন। এতে তাঁর দিনমজুর স্বামী মনিরুল ইসলামের একটু উপকার হয়। তাঁদের মেয়ে লিমা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের জন্য বাধ্যতামূলক গাইড বই কিনতে হবে। কিন্তু ঘরে টাকা না থাকায় বাধ্য হয়ে বিয়েতে পাওয়া নাকফুল তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে মেয়ের জন্য গাইড বই কিনেছেন। তাঁর ইচ্ছা, মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করবেন। তাই এত লড়াই।
শিক্ষার্থীদের জন্য গাইড বই কেনা এতটাই জরুরি কি না—জানতে চাইলে ভোলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক এবং মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষক শরমিন জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের গাইড বই কিনতে নিরুৎসাহিত করে আসছি। গাইড থেকে উত্তর দিলে নম্বর কমিয়ে দিই। আমরা যে প্রশ্ন করি, তাতে গাইড বইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। পাঠ্যবই পড়লে, শ্রেণিশিক্ষক পড়ানোর সময় নিজস্ব জ্ঞান যোগ করলে সেটাই যথেষ্ট। ইচ্ছা করলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের পক্ষে পাঠ্যবই ও সিলেবাস এক-দুই মাসে শেষ করা সম্ভব। প্রাইভেটও পড়তে হয় না।’
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হযরত আলীকে এক হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে গাইড বই কিনে দিয়েছে তার মা। পড়ার টেবিলে হযরত আলী। সম্প্রতি ভোলা সদএর রাজাপুর কন্দর্পপুরে