পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় গিয়েছিল পুলিশ। পরে বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ওই ঘটনায় মুলতবি ওয়ারেন্ট তামিল করতে যাওয়া পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেওয়া এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডিএমপির তেজগাঁও থানার এসআই আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল মুলতুবি ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন শাহিনবাগ এলাকায় গমন করে। এক পর্যায়ে তারা নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের খোঁজে তার বাসায়ও যান। 

ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মুলতবি ওয়ারেন্ট তামিল করতে যাওয়া দলের সদস্যরা সবাই ঢাকা মহানগর পুলিশে নতুন যোগদান করা বিধায় তাদের কেউ জানতো না যে, এটা এক যুগের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসা।

বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন সম্পর্কে তাদের পূর্ব ধারণা না থাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এসআই আকরামকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছে। বিগত সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার প্রত্যেক ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের প্রতি ডিএমপি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে এবং তাদের নিরাপত্তায় ডিএমপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার 

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।

মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে। 

সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।

আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাগড়াছড়িতে হত্যা ও হামলার ঘটনায় ৩ মামলা
  • পাথরঘাটায় ৪০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
  • পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার