বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর তাহলে কি পিছিয়েই যাচ্ছে
Published: 9th, May 2025 GMT
পাঁচটি টি–টোয়েন্টি খেলতে চলতি মাসেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। তবে ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের জেরে সফরটি পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জিও নিউজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তানে দল পাঠাবে কি না, এমন প্রশ্ন ছাড়িয়েও সামনে চলে আসছে পিসিবির বাস্তবতা।
এরই মধ্যে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও ম্যাচগুলো চলতি মাসেই শেষ করা হতে পারে। আর সেটি করতে গেলে ২৫ মে শুরু বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজ পেছাতেই হবে।
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ২১ মে। তার আগে ১৮ মে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা পিএসএলের এবারের আসর। তবে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম এলাকায় ড্রোন হামলার পর পাকিস্তানে পিএসএল আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিএসএলের ম্যাচ চালু করতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কারণ, সম্প্রচারসহ বিভিন্ন লজিস্টিক্যাল বিষয় স্থানান্তরের ব্যাপার রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পিএসএলের বাকি ৮ ম্যাচ শেষ হতে হতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজ শুরুর সময় চলে আসবে।
আরও পড়ুনআজ রাতে পাকিস্তান ছাড়ছেন নাহিদ-রিশাদ১ ঘণ্টা আগেপাঁচ টি–টোয়েন্টির সিরিজটি আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) অংশ। এরই মধ্যে লিটন দাসকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দলও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ দলের ১৪ মে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা। ২১ মে পাকিস্তানে পৌঁছানোর আগে দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি–টোয়েন্টি যুক্ত করেছিল বিসিবি।
এখন পাকিস্তান সফর পিছিয়ে গেলে বা স্থগিত হয়ে গেলে লিটনদের আমিরাত সফরও পড়ে যাবে অনিশ্চয়তায়। কারণ, দুবাই হয়ে যাওয়ার পথে দুটি ম্যাচ খেলাই যায়, এমন ভাবনা থেকেই করা হয়েছিল আরব আমিরাতের সূচি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য এ সফর পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। আগামীকাল পরিচালকদের সঙ্গে এক সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুনআইপিএল আয়োজন করতে রাজি হয়নি আরব আমিরাত৪৪ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন সফর প এসএল
এছাড়াও পড়ুন:
লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণে এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে সরকারের চুক্তি
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই চুক্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই পক্ষ এ চুক্তিতে সই করে। এতে ডেনমার্ক, বাংলাদেশ সরকার ও বন্দর সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকেরা অংশ নেন।
চুক্তিতে সই করেন এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
ডেনমার্কের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইবিএস এপিএম টার্মিনালসের হেড অব ইনভেস্টমেন্ট ভাস্কর সেনগুপ্ত, ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন ও বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) ও নৌপরিবহন সচিব নুরুন্নাহার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনবলেন, ‘এই চুক্তি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতির জন্য বড় অবদান। যাঁদের মধ্যে এ নিয়ে সন্দেহ ছিল, আশা করি, আজ তা দূর হবে।’ তাঁর আরও আশা, এই ধারাবাহিকতায় মোংলা সমুদ্রবন্দর পরিচালনায়ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী বলেন, ‘লালদিয়া দেখিয়ে দিয়েছে—পিপিপি শুধু তত্ত্বে নয়, বাস্তবেও কার্যকর। ভবিষ্যতেও আমরা বাস্তবায়ন-কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নেই মনোযোগ দেব।’ তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক বছরে চারটি নতুন সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে আছে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর, একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ও একটি নির্ধারিত মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত পাঁচ দশকে দুই দেশের উন্নয়ন সহযোগিতার সফলতা দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সম্পর্ক সহায়তা থেকে ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। মাথাপিছু হিসাবে ডেনমার্ক বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য। বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্য পূরণে লালদিয়া প্রকল্প নতুন মাইলফলক।’
পরিবহন কোম্পানি মেয়ার্স্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা বলেন, লালদিয়া হবে অত্যাধুনিক গ্রিনফিল্ড টার্মিনাল; সেখানে নিরাপত্তা, অটোমেশন ও স্থায়িত্বের সর্বোচ্চ মান থাকবে। এতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। সেই সঙ্গে লজিস্টিকস খাতের অগ্রযাত্রায় এটি বিশেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে।