হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩ দিনের রিমান্ডে জবি শিক্ষার্থী
Published: 9th, May 2025 GMT
রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার বিষয়টি জানা যায়। বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এদিন আদালতে তার দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার ট্যুরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো.
রিমান্ডে নেওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ৭ মে রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি মেস থেকে পুলিশের পোশাকে তাকে আটক করা হয় বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশপাশের থানায় খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। পরে আজ বিষয়টি জানা যায় একাধিক সূত্র থেকে।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে চলতি বছর ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এবং সংগঠনটির পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।
কাউন্টার টেরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রিমান্ড আবেদন সূত্রে জানা যায়, ‘Come Out for Save Gaza’ ও ‘Protest Rally’ নামের কর্মসূচির প্রচার চালান, যা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল। পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (টেকনো) ও ল্যাপটপ (লেনোভো) জব্দ করে বলে জানিয়েছে, যেখানে উগ্রপন্থি ও রাষ্ট্রবিরোধী কনটেন্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তার আসামি প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে হিজবুত তাহারীর সংগঠনের সাথে জড়িত মর্মে জানান। আসামি মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।
অভিযুক্ত মিজানুরের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, ওকে সেদিন রাত ১১টার দিকে নারিন্দার মেস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন দিন কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
মামলার বিষয় জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু বলেন, মামলাটি আমি আসার আগে হয়েছে। মামলাটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও এর তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার থেকে ভালো বলতে পারবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রব র ধ ধ নমন ড তদন ত রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।