চট্টগ্রামে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের হলোগ্রাউন্ড মাঠে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রথম এই তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জেলা নিয়ে এই তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমাবেশ উপলক্ষে শনিবার দুপুর থেকে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে হলোগ্রাউন্ড মাঠ ও আশপাশের এলাকা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময়ও ১৩ সাংগঠনিক জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ট্রাকে করে সমাবেশস্থলের দিকে আসছেন।

নগরীর প্রবেশমুখ এবং সমাবেশস্থলের আশপাশের স্থলগুলো গাড়ি এবং মানুষে ভরে গেছে। সমাবেশস্থলের ১ কিলোমিটার আশপাশে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবুও প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে মানুষ স্রোতের মতো সমাবেশস্থলের দিকে আসছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

এদিকে প্রখর রোদের তাপ সহ্য না করতে পেরে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সদরদপ্তর সিআরবি এলাকায় গাছতলায় এসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে সমাবেশে আসা শত শত মানুষকে। তীব্র গরমে অনেককে অসুস্থ হয়ে যেতেও দেখা যায়।

সমাবেশে আসা কয়েকজন সমকালকে জানান, তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই তারা হলোগ্রাউন্ড মাঠে এসেছেন। এখানে সবাই একত্রিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন তারা।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আইনশৃঙ্গলাবাহিনীর কোনো সদস্যকে সমাবেশস্থলের আশপাশে পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ণ য র সম ব শ আশপ শ

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় আরো বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন: আশা প্রধান উপদেষ্টার

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরো অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে কুয়ালালামপুরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি সহযোগিতামূলক নোট বিনিময় স্বাক্ষর করা হয়। 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। তারা উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান, যা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপন, সন্তানের লেখাপড়া এবং ভালো শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জন্য এই দরজা খোলা থাকবে এবং আমাদের দেশের আরো অধিকসংখ্যক তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।” 

বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ার জনগণ তাদের সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্য এবং বন্ধুর মত আচরণ করে। এতে তারা খুব খুশি। তারা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এখান থেকে অনেক কিছু শেখে, যা দেশে ফিরে যাওয়ার পর নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়ক হয়।” 

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটা উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং প্রযুক্তি নিয়ে আসুন। আমাদের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে আপনারা পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন।” 

একটা টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গত বছর ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছিল। আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে। এরপর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা সহযোগিতা খুঁজছিলাম, আর তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বন্ধুর মত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাদের শক্তি জুগিয়েছিলেন। ”

বাংলাদেশে সঠিক পথ নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে পেরেছি। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
“ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও কার্যকর করা গেছে। যে কারণে এক বছরের মাথায় এসে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারছি।” আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং আসিয়ানের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থন চান।

সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।” 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ