নাটোরে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ, দু’জন গুলিবিদ্ধ
Published: 11th, May 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুরে মতবিনিময় সভায় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতদের স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১০ মে) রাত পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার চাঁচকৈড় শিক্ষা সংঘ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে শটগানের গুলিতে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুফি মো.
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে শিক্ষা সংঘের মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যক্রমে গতিশীলতা ও দলকে সংগঠিত করতে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভার শেষ পর্যায়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল গ্রুপের নাজমুল করিম নজু প্রতিবাদ জানান। এ সময় উভয়পক্ষই উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু বলেন, “আমাদের দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার। তিনি বলেন, “জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ বিএনপির নেতাদের নাম উল্লেখ্য করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্যের শেষ দিকে প্রতিবাদ জানান নাজমুল করিম নজু। তখন উত্তেজিত হয়ে তাদের লোকজন আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা করে। তবে গুলি করার অভিযোগ সত্য নয়।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মতবিনিময় সভার শেষ দিকে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমার কোনো সমর্থক গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত নয়।”
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ বলেন, “হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন নাজমুল করিম নজু। এ সময় আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ জানায়। তারপর কি হয়েছে আমার জানা নেই। কারণ আমি সভাস্থলে ছিলাম, বাইরে কি হয়েছিল, তা বলা সম্ভব নয়।”
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, বিএনপির মতবিনিময় সভায় নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে পুলিশ দুই রাউন্ড শটগানের খোসা উদ্ধার করেছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঢাকা/আরিফুল/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব এনপ র স ব ক স প র ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার: রিজওয়ানা হাসান
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ সোমবার সকালে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘দ্য সোল অব জুট’ নামে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
দেশের নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিদেশ থেকে কারা ইনফ্লুয়েন্স করেছে, দেশ থেকে কারা ওই বাসটাকে আগুন দেওয়ার জন্য ইনফ্লুয়েন্স করেছে, নামগুলো আপনারা জানেন। তদন্ত করে সরকার যে নামগুলো পাচ্ছে, সে নামগুলোই দিচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস। এরপর কারও যদি মনে হয় তাঁর কাছে আরও তথ্য আছে, তাহলে সরকারকে জানান।’
সহিংসতা নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, সহিংসতা, ককটেল মারা এসব ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ আছে। গণমাধ্যম চাইলে আতঙ্কটা ছড়াতে পারে; আবার যারা এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের নিন্দা করে সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারে।
গতকাল রোববার রাতে রিজওয়ানা হাসানের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আপনার বাসায় ককটেল মারবে আর আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন, তা তো হতে পারে না। তবে আতঙ্কিত হওয়া এক জিনিস, আর নিশ্চিন্ত না থাকা আরেক জিনিস। এবং সতর্ক হওয়া আরেক ব্যাপার। কথা হচ্ছে যে এ রকম একটা শান্ত পরিবেশে যে এ রকম অস্থিতিশীলতা গড়ে তোলা হচ্ছে, এটার ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন। সরকারের যা করার সরকার তা করবে।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য গণমাধ্যম এগিয়ে আসুক। যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায় সে বার্তাটা যেন গণমাধ্যম প্রচার করে।’
গতকাল রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।