ক্যাননের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর
Published: 11th, May 2025 GMT
ক্যানন সিঙ্গাপুর ও এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তোশিউকি ইশির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। ৭ থেকে ৯ মে এই সফরকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ক্যানন সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু কো চি ইয়ান, নোরিহিরো কাতাগিরি ও পরিচালক তাকাশি ইচিনোমিয়া।
৮ মে ক্যানন প্রতিনিধিদল ক্যাননের পরিবেশক জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে। রাতে এক নৈশভোজে তারা গণমাধ্যমকর্মী, ডিলার ও ক্যাননের দীর্ঘদিনের ব্যবহারকারীদের সঙ্গে অংশ নেয়।
তোশিউকি ইশি বলেন, ক্যানন সব সময় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার দিকে নজর দিয়ে তার পণ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশের বাজার নিয়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অ্যান্ড্রু কো চি ইয়ান বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত, বাংলাদেশের মানুষ ক্যাননকে পছন্দ করেন। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে চাই। ক্যাননের নতুন নতুন প্রযুক্তি বাংলাদেশের ক্রেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।’
এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময়ের সফল অংশীদার জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে ক্যাননের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা। ৭ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যানন প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ এইচ কাফি। তিনি অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান। পুরো সফরেই তিনি ক্যাননের অতিথিদের সঙ্গে ছিলেন।
এই সফরের মধ্য দিয়ে ক্যাননের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। আবদুল্লাহ এইচ কাফি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাননের সঙ্গে কাজ করছি ৩০ বছর ধরে। ক্যাননের গুরুত্বপূর্ণ দলটি বাংলাদেশ সফর করতে এসেছে। তারা বাংলাদেশে অনেক কিছু করতে চায়।’
ক্যাননের প্রতিনিধিদলটি স্মার্ট টেকনোলজিস (প্রা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য নন র
এছাড়াও পড়ুন:
হাজারীবাগে পানির ট্যাংকিতে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ৪
রাজধানীর হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড়ে একটি বাসায় পানির ট্যাংকি পরিষ্কার করার সময় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন-বিল্লাল হোসেন (২৮), মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (৪৫), ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪)।
এরমধ্যে বিল্লাল হোসেন দিনমজুর, তার ১৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাড়ির মালিক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, তার ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাড়ির মালিকের মেয়ে ফারিয়া, তার ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাড়ির মালিকের আরেক মেয়ে রাইফা, তার ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এরা সকালেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ১১ টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।
বাড়িওয়ালা জিয়াউর রহমানের ভাগিনা সাকরান হোসেন বলেন, ‘‘শনিবার বিকেলের দিকে ৫১/ এ, হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় বাসায় একজন দিনমজুর পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায় এতে শিশু সহ ৪ জন দগ্ধ হয়। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।’’
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এর জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, হাজারীবাগ থেকে গ্যাসের আগুনে শিশুসহ ৪ জন দগ্ধ বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। আহতদেরকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে বিল্লালের অবস্থা গুরুতর।
ঢাকা/বুলবুল/টিপু