ক্যানন সিঙ্গাপুর ও এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তোশিউকি ইশির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। ৭ থেকে ৯ মে এই সফরকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ক্যানন সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু কো চি ইয়ান, নোরিহিরো কাতাগিরি ও পরিচালক তাকাশি ইচিনোমিয়া।

৮ মে ক্যানন প্রতিনিধিদল ক্যাননের পরিবেশক জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে। রাতে এক নৈশভোজে তারা গণমাধ্যমকর্মী, ডিলার ও ক্যাননের দীর্ঘদিনের ব্যবহারকারীদের সঙ্গে অংশ নেয়।

তোশিউকি ইশি বলেন, ক্যানন সব সময় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার দিকে নজর দিয়ে তার পণ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশের বাজার নিয়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অ্যান্ড্রু কো চি ইয়ান বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত, বাংলাদেশের মানুষ ক্যাননকে পছন্দ করেন। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে চাই। ক্যাননের নতুন নতুন প্রযুক্তি বাংলাদেশের ক্রেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।’

এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময়ের সফল অংশীদার জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে ক্যাননের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা। ৭ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যানন প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ এইচ কাফি। তিনি অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান। পুরো সফরেই তিনি ক্যাননের অতিথিদের সঙ্গে ছিলেন।

এই সফরের মধ্য দিয়ে ক্যাননের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। আবদুল্লাহ এইচ কাফি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাননের সঙ্গে কাজ করছি ৩০ বছর ধরে। ক্যাননের গুরুত্বপূর্ণ দলটি বাংলাদেশ সফর করতে এসেছে। তারা বাংলাদেশে অনেক কিছু করতে চায়।’

ক্যাননের প্রতিনিধিদলটি স্মার্ট টেকনোলজিস (প্রা.

) লিমিটেডের কার্যালয়ও পরিদর্শন করে। সেখানে স্মার্টে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম তাঁদের স্বাগত জানান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক য নন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ