রাজধানীর রমনা মডেল থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটুসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন নবীনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.
আরো পড়ুন:
ভারতীয় নাগরিককে বাড়ি ফেরালেন বাংলাদেশের সাংবাদিক
সাবেক এমপি শামীমা কারাগারে
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আমির হামজা।আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় জামিন শুনানি হয়নি। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে নথি পাওয়া সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন শহীদ ফারুক সড়কের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, রাষ্ট্রের অখণ্ডন্তা, সংহতি ও সার্বভৌমত্ব বিপণ্ন করার মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রীয় কাজে বাধার জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিরা রমনা পার্কের ভেতরে ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং করে। এ সময় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অজ্ঞাতনামা আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়।
ঢাকা/এম/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে