আন্দ্রে অ্যাডামস আউট। শন টেইট ইন। বিষয়টি এমনই দাঁড়াচ্ছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে শন টেইটকে নিয়োগ দিচ্ছে। আন্দ্রে অ্যাডামসের সঙ্গে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও তাকে না করে দিয়েছে। পারস্পরিক সমঝোতায় দুই পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।

ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দ্রে অ্যাড্যামসের যাত্রা শেষ হয়েছে। বিসিবি তাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দিয়েছে। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে তাকে ফুল দিয়ে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপের পরপরই অ্যাডামসকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। শুরু থেকে তার কাজ নিয়ে খুব একটা বিশেষ কিছু মনে হয়নি সংশ্লিষ্টদের। গড়পড়তা পারফরম্যান্সের কারণে তাকে নিয়ে আগ্রহী নয় বিসিবি।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত ‘এখনই নয়’

শনিবার বোর্ড মিটিং, পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নিবে বিসিবি

শন টেইন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার। বাংলাদেশে বিপিএলে একাধিকবার কাজ করেছেন। প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে কাজ করবেন সেই কথাও গণমাধ্যমে বলেছেন একাধিকবার। সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে শিগগিরিই। বিসিবি ও টেইটের কথাও প্রায় চূড়ান্ত। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে শিগগিরই।

তবে বাংলাদেশ দলের আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে পেস বোলিং কোচকে পাচ্ছে না। এই সিরিজে পেস বোলিং কোচ হিসেবে কেউ থাকবে না। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ টেস্ট, ৩৫ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছেন টেইট। এর আগে পাকিস্তান জাতীয় দলে কাজ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হামজাকে দেখেই তাঁদের বাংলাদেশি হওয়ার স্বপ্ন জাগে

শুক্রবার ছুটির দিনে জাতীয় স্টেডিয়ামে বসল যেন প্রবাসীদের মিলনমেলা! কেউ এসেছেন ইংল্যান্ড থেকে, কেউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে, কেউ আবার সুইডেন থেকে

আগামীকাল থেকে তিন দিন এই ভেন্যুতে হবে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়াল। তার আগে পরিবার–পরিজন নিয়ে সবাই হাসি–আনন্দে কাটিয়েছেন আজকের বিকেলটা। মূলত আনুষ্ঠানিক ট্রায়ালের আগে আজ বাফুফের ওরিয়েন্টশন সেশনে যোগ দিতে আসেন এসব প্রবাসী ফুটবলার।

তাঁদেরই একজন তোফায়েল তানিম। বর্তমানে খেলছেন ইংল্যান্ডের ক্লাব সাউথএন্ড ম্যানর এফসিতে। ২৩ বছর বয়সী এই সেন্টার ব্যাকের স্বপ্ন বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা।

তাঁর এই স্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল হামজা চৌধুরীকে দেখেই, ‘যেদিন দেখলাম হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন, সেদিনই বাবাকে বলে দিই আমিও খেলতে চাই। তাঁকে দেখেই তো এখানে এসেছি।’

তানিমের মতো সুইডেনপ্রবাসী আশিক রহমানও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। সুইডেনের ফুটবল একাডেমি অরেঞ্জ এফকেতে খেলা এই লেফট উইঙ্গার বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে এখানে এসে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমি একজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশকে আমি খুব ভালোবাসি। দেশের হয়ে খেলতে চাই।’

ট্রায়াল দিতে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের বাবা–মায়েরাও খুব রোমাঞ্চিত। ইংল্যান্ডের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড থেকে এসেছেন আশরাফ আবু। তাঁর খুব ইচ্ছা ছেলে মুসা আল-ঘানি একদিন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন।

১৭ বছর বয়সী মুসা বর্তমানে খেলছেন ইংল্যান্ডের ইউএফসিএ লিডস নামের একাডেমিতে। মিডফিল্ডে খেলা এই তরুণের চোখেমুখেও রঙিন স্বপ্ন। বাবা আশরাফ বললেন ছেলেক নিয়ে প্রত্যাশার কথা, ‘আমার ছেলে খুবই রোমঞ্চিত। সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। আসলে হামজা আসার পর ছেলেদের মধ্যে আগ্রহটা বেড়েছে। দেখা যাক কী হয়।’

২৮ থেকে ৩০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫২ জন ফুটবলারের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সেটা কমে হয়েছে ৪৮। আজ বিকেলে ওরিয়েন্টশন ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের সময় ৪৩ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচজন তখনো দেশে ফেরার পথে।

বাফুফের এই ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন ডেনমার্কপ্রবাসী সাকিব মাহমুদ। ফুটবলারের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ নিয়ে তিনি বলছেন, ‘সম্প্রতি দুজন ফুটবলার চোটে পড়েছেন।  আর মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট সংকটের জন্য একজনের আসার সূচি বদলেছে।’ অন্য একজন বুধবার না আসার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ