অস্ত্রবিরতি হলেও সামরিক হামলার ধকল পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গতকাল তিনটি ঘরোয়া লিগ স্থগিত করা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বিসিবিকে। 

শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পাকিস্তান সফর বাতিল হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে বিসিবি কর্মকর্তারা রাজি নন। শনিবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান যাওয়া ঠিক হবে না। 

এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভেন্যু আরব আমিরাতে সিরিজ খেলার পক্ষের মত বেশি। যদিও জিও টিভির ক্রীড়া সাংবাদিক সোহেল ইমরান জানান, বাংলাদেশের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলার ব্যাপারে ইতিবাচক পিসিবি। 

ভারতের সামরিক হামলায় পিএসএল স্থগিত করা হয় আগেই। গতকাল ঘরোয়া বাকি লিগ বন্ধ করে দেওয়ায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা গেছে ক্রিকেটবিশ্বের কাছে। যদিও লাহোর থেকে সোহেল ইমরান জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। 

তাঁর মতে, ‘পিসিবি থেকে আমাকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নির্ধারিত সময়ে পাকিস্তান সফর করবে। পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজের ভেন্যু ও সূচিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকেও নিরাপত্তা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়নি বলে জানিয়েছে।’ 

বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ পিসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বলে জানা গেছে। যদিও এই বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো কিছু বলতে পারেননি।’ 

পিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাজাকে সিরিজ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। নিরাপত্তা নিয়ে সংকট নেই। আমাদের হাতে এখনও কিছু দিন সময় আছে। বাংলাদেশ দল ১৭ ও ১৯ মে দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলবে। তারা সম্ভবত ১৪ মে দুবাই পৌঁছাবে। আশা করি, এই সময়ের ভেতরে গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’ 

ভারত-পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি কত দিনের জন্য, তা পরিষ্কার নয়। বরং মিডিয়া থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনী কর্তৃক পাকিস্তানে হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও পাকিস্তান থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। যুদ্ধ থেমে গেলেও আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনে যে ধরনের নিরাপত্তা প্রয়োজন, পাকিস্তান সেটা এ মুহূর্তে দিতে পারবে কিনা জানা নেই।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ