প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফর ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি
Published: 12th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে আসছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী বুধবার (১৪ মে) সকালে তিনি নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন।
চট্টগ্রাম সফরে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব সড়ক দিয়ে চলাচল করবেন, সেগুলো সংস্কার, সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি ফুটপাত থেকে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচির মধ্যে রয়েছে, সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে এক সভায় যোগ দেবেন। সেখানে বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
এলডিসি উত্তরণে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
বন্দরের কর্মসূচি শেষে মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আসবেন। সেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এছাড়া এখানে তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে সার্কিট হাউস ত্যাগ করবেন। দুপুর ২টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার জানান, বুধবার দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগ দিবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। ৫ম সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি লিট ডিগ্রি দেয়া হবে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তিপ্রতিষ্ঠার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ ডিগ্রি দেয়া হবে।
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম, ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর এস. এম. এ. ফায়েজ।
প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফর ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধান উপদেষ্টা যেসব সড়ক দিয়ে চলাচল করবেন সেগুলো সংস্কার, সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি ফুটপাত থেকে অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ প রস ত করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় ইনিংসেও পারলেন না বিজয়
কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে ৪৫৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ২১১ রানের বিশাল লিড নিয়েছে। রানের চাপায় পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৬.৫ ওভারে ৩১ রান করে এক উইকেট হারিয়েছে। ক্রিজে থাকা ওপেনার সাদমান ইসলাম ১২ রান করেছেন। তার সঙ্গী মুমিনুল হক। বিজয় ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করে ফিরেছেন।
কুশল মেন্ডিস ফিরতেই অলআউট: টেলেন্ডারদের নিয়ে সেঞ্চুরি পথে হাঁটছিলেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। তিনি ৮৪ করে রানআউট হন। আটটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এরপরই অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
সিলভা-কামিন্দুকে ফেরানোর স্বস্তি: তৃতীয় দিন সকালেই তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নিশাঙ্কা ছাড়াও ছিলেন নাইটওয়াচ ম্যাচ প্রবাথ জয়সুরিয়া ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মধ্যে সিলভা ৭ রান করেন। কামিন্দু মেন্ডিস ক্রিজে সেট হয়ে ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন।
সকালেই ফিরলেন নিশাঙ্কা: পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে দ্বিতীয় দিন দাপট দেখায় শ্রীলঙ্কা। তিনি ১৪৬ রানে অপরাজিত ছিল। তৃতীয় দিন সকালে লঙ্কান ওপেনার ১৫৮ রান করে তাইজুলের বলে আউট হন।
দ্বিতীয় দিন নিশাঙ্কা-চান্ডিমালের: দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি পায় লঙ্কানরা। লাহিরু উদারা ৪০ রান করে ফেরেন। এরপর পাথুম নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল ১৯২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচই একপ্রকার বাংলাদেশের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। চান্ডিমাল ৯৩ রান করে আউট হন। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন তিনি।
আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি: কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। উপায় নেই দেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেন তাইজুল ইসলাম। ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ হওয়া ইনিংস ২৪৭ রানে নিয়ে যান তিনি। তাইজুল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস।
ব্যাটারদের আত্মহনন: কলম্বোয় ৭৬ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায়। এনামুল বিজয় শূন্য করেন। মুমিনুল ফিরে যান ২১ রান করে। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে সেরা ভরসাটা দিচ্ছিলেন। পুরনো বলে, সহজ হয়ে ওঠা উইকেটে তারা ৬৭ রানের জুটি দিয়ে আত্মঘাতী শট খেলে আউট হন। লিটন ৩৪ ও মুশফিক ৩৫ রান করেন। তার আগে সাদমান ইসলাম ফিরে যান ৪৬ রান করে। মেহেদী মিরাজ ৩১ রান করেন।