শুধু সিরিজ নয়, লিটনের লক্ষ্য অনেক বড়
Published: 12th, May 2025 GMT
দীর্ঘদিন পর আবারো অধিনায়কত্ব পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের হাতেই টি-টোয়েন্টি দলের ভার দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দায়িত্ব পেয়ে লিটনও যেন সন্তুষ্ট। অধিনায়ক হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন এই ব্যাটার।
সোমবার (১২ মে) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হন লিটন। কথা বলেন নিজের নেতৃত্ব এব লক্ষ্য নিয়ে। লিটনের লক্ষ্যটা অবশ্য বড়। কেবল সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে চান না। আগাতে চান আরো সামনে।
এর আগেও নেতৃত্ব পেয়েছিলেন লিটন। তবে ভারতের বিপক্ষে হারের পর তাকে অব্যাহতি দেয় বিসিবি। এবার লিটন দায়িত্ব পেয়েছেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। লক্ষ্যটা তাই বেশ বড়। তার কথায় নেতৃত্বের পরিকল্পনা নিয়ে লম্বা সময়ের আভাস পাওয়া গেল।
আরো পড়ুন:
২৪ ইনিংসে মাত্র ১ ফিফটি, তবুও বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন অধিনায়ক?
শুরুর আগেই শেষ লিটনের পিএসএল যাত্রা
লিটন বলেন, “পার্থক্যের কথা যদি বলি, আগের পরিকল্পনাগুলো যা ছিল, সিরিজভিত্তিক ছিল। যেহেতু এখন লম্বা সময়ের একটা সুযোগ এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করব। নিজেই জানব যে এতদূর পর্যন্ত আমার একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজভিত্তিক তো থাকবেই। এর সঙ্গে এটাও থাকবে যে সামনের দিকে আরও কী করতে পারি।”
অধিনায়ক হিসেবে সবারই একটা লক্ষ্য থাকে। কাউকে ফলো করার বিষয় থাকে। তবে লিটনের আপাতত সেদিক থেকে কেউ নেই। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, নিজেকে খেলোয়াড় হিসেবেও ভাবছেন লিটন। দুইয়ে মিলিয়েই নিজের মতো খেলতে ও নেতৃত্ব দিতে চান।
তার ভাষ্য, ‘‘ক্যাপ্টেন্সির বিষয় তো রোল মডেল কেউই না। আপনি যে কথাটা বললন, সেটাই এন্সার দেই। ধরেন, ক্যাপ্টেন্সি ছাড়াও তো আমি খারাপ খেলেছি। এখন অধিনায়ক হয়ে আসতেছি। এটাও অপজিট সাইডও হতে পারে যে আসার পর থেকে আমি ভালো খেলতেও পারি। আমি যেটা বললাম, পজেটিভ, নেগেটিভ দুইটা জিনিসই থাকবে। ওভাবে রোল মডেল কেউ নেই।’’
অধিনায়ক হিসেবে লিটনের আগের রেকর্ড ভালো নয়। হতাশাজনকও। সেটা ছাপিয়ে এবার বড় লক্ষ্য নিয়েই নামবেন। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। এবার দেখার বিষয়, সেই লক্ষ্য কতটা সফলতার মুখ দেখে।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স লক ষ য ল টন র ন ল টন
এছাড়াও পড়ুন:
নটর ডেম কলেজ ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস (১৮) মারা গেছেন। কলেজ ‘ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে’ তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধ্রুব পরিবারের সঙ্গে গোপীবাগের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর মধ্যপাড়ায়।
মৃত শিক্ষার্থীর বাবা বাণীব্রত দাস জানান, ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার প্রবেশপত্র আনার জন্য ছেলের সঙ্গে কলেজে যান তিনি। ছেলেকে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি আর ধ্রুবর মা কলেজগেটের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু একটু পর কয়েকজন শিক্ষার্থী ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে নিয়ে আসে বাইরে। তাকে প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।