থানা থেকে ‘পালালেন’ আওয়ামী লীগ নেতা, ধরে আনা হলো বড় ভাইকে
Published: 12th, May 2025 GMT
ফরিদপুরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর তাঁর পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাপ দেওয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে ওই নেতার বড় ভাইকে। আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায়।
পালিয়ে যাওয়া নেতার নাম মো. নাসির উদ্দিন (৫২)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল মহল্লার বাসিন্দা মৃত সালাম মিয়ার ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করেন ওই ব্যক্তি।
নাসির উদ্দিন থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁর বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫)। এলাকায় তিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলী।
এলাকাবাসী ও ওই আওয়ামী লীগ নেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে নিজের টিন বিক্রির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আওয়ামী লীগের ওই নেতা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে থানার পেছনের দিকে পুলিশ মেসের পাশ দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ মো.
তবে থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার খবর ঠিক নয় দাবি করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, নাসির উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। থানায় তাঁর নামে কোনো মামলা নেই বিধায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নাসির উদ্দিনের বড় ভাইকে থানায় নিয়ে আসার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘ভাই, এই বিষয়টি আমরা দেখতেছি, দেখি কী করা যায়।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলফ ড ঙ গ র বড় ভ ই আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।