অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলো। কিন্তু লড়াই এখনও বাকি। সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, মুজিববাদের সাংস্কৃতিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক অর্থনীতিকে পরাস্ত করতে হবে। ফ্যাসিবাদের ফলে সৃষ্ট সামাজিক ফ্যাসিবাদ দূরীভূত করতে হবে। মজলুম জনগোষ্ঠীকে জালিম হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। বরং সবার অধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, রাষ্ট্রকে নতুন করে গড়ে তুলতে অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তিকে দূরদর্শী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। আদর্শিক বিরোধ, নির্বাচনি প্রতিযোগিতা এবং নানাবিধ টানাপোড়েন থাকবে, স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, যুগপৎভাবে কিংবা আলাদা হয়ে হলেও সর্বাত্মক গণমুখী লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, একাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগ মুজিববাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রগঠনকে বাধাগ্রস্ত করেছিল এবং রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া করে তুলেছিল। লীগমুক্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রগঠন এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভয়াবহ আগুন কলকাতার বড়বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন
কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারের কাছে বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। শনিবার ভোর রাতে আগুন লাগলেও সেই আগুন সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বরং দ্রুত আগুন ছড়াচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইঞ্জিনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভালো করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। কীভাবে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন।
আরো পড়ুন:
ভারত যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
চীন সীমান্তের পাশে নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত
যদিও ফায়ার সার্ভিসের তরফে সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি, তারা আগুন নেভাতেই এখনো পর্যন্ত ব্যস্ত। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ