তেজগাঁওয়ে ময়লার স্তূপের পাশে নালা থেকে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার
Published: 13th, May 2025 GMT
রাজধানীর বিজয় সরণি উড়ালসড়ক–সংলগ্ন ময়লার স্তূপের পাশের নালা থেকে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির নাম রোজা মনি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তেজগাঁও থানা-পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটি তার মা শিল্পী আক্তার ও বোনদের সঙ্গে তেজকুনিপাড়া এলাকায় থাকত। বাবা নূর আলম প্রবাসী। গতকাল সোমবার দুপুরের পর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে উড়ালসড়কের পাশে একটি ময়লার স্তূপের পাশের নালায় বস্তাবন্দী লাশ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এসআই আবদুল কাদের বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা, কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পাঁচ বোনের মধ্যে রোজা ছিল সবার ছোট।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।
মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।
সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।
আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ